অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

নির্মলেন্দু গুণ

নির্মলেন্দু গুণ

নির্মলেন্দু প্রকাশ গুণ চৌধুরী (জন্ম ২১ জুন ১৯৪৫), যিনি নির্মলেন্দু গুণ নামে ব্যাপক পরিচিত, এক জন কবি ও চিত্রশিল্পী। কবিতার পাশাপাশি তিনি গদ্য ও ভ্রমণ কাহিনিও লিখেছেন। তাঁর কবিতায় মূলত প্রেম, শ্রেণিসংগ্রাম ও স্বৈরাচার বিরোধিতা, এই বিষয়গুলো প্রকাশ পেয়েছে। যৌবনে এই কবি কমিউনিস্ট রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৭০ সালে প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘প্রেমাংশুর রক্ত চাই’ প্রকাশিত হওয়ার পর জনপ্রিয়তা অর্জন করে। এই গ্রন্থের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে লেখা হুলিয়া কবিতাটা ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে এবং পরবর্তী কালে এর উপর ভিত্তি করে তানভির মোকাম্মেল একটি পরীক্ষামূলক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেন। এ ছাড়াও তাঁর স্বাধীনতা, এই শব্দটি কী ভাবে আমাদের হল কবিতাটি বাংলাদেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের পাঠ্যপুস্তকে পাঠ্য। তিনি ১৯৮২ সালে বাংলা অ্যাকাডেমি এবং ২০০১ সালে একুশে পদক পুরস্কার অর্জন করেন। নির্মলেন্দু গুণ ১৯৪৫ সালে কাশবন, বারহাট্টা, নেত্রকোণায় এক হিন্দু পরিবারে জন্ম করেন। তাঁর ছেলেবেলা কাটে নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলায়। বাবা সুখেন্দুপ্রকাশ গুণ এবং মা বীণাপাণি। বাবা-মায়ের তিন মেয়ে ও দুই ছেলের মধ্যে নির্মলেন্দু ছোট ছেলে। ৪ বছর বয়সে মায়ের মৃত্যু হতে বাবা পুনরায় বিবাহ করেন। নতুন মায়ের কাছেই নির্মলেন্দুর শিক্ষা শুরু হয়।

প্রথমে বারহাট্টার করোনেশন কৃষ্ণপ্রসাদ ইন্সটিটিউটে তৃতীয় শ্রেণিতে ভর্তি হন তিনি। দুই বিষয়ে লেটারসহ মেট্রিক পরীক্ষায় প্রথম বিভাগ পান ১৯৬২ সালে৷ মাত্র ৩ জন প্রথম বিভাগ পেয়েছিল স্কুল থেকে৷। মেট্রিক পরীক্ষার আগেই নেত্রকোণা থেকে প্রকাশিত ‘উত্তর আকাশ’ পত্রিকায় প্রকাশিত হয় নির্মলেন্দু প্রকাশ গুণের প্রথম কবিতা ‘নতুন কান্ডারী’৷ মেট্রিকের পর আই.এস.সি পড়তে চলে আসেন ময়মনসিংহেরআনন্দমোহন কলেজে৷ মেট্রিক পরীক্ষায় ভালো রেজাল্টের সুবাদে পাওয়া রেসিডেন্সিয়াল স্কলারশিপসহ পড়তে থাকেন এখানে৷ নেত্রকোণায় ফিরে এসে নির্মলেন্দু গুণ আবার ‘উত্তর আকাশ’ পত্রিকা ও তাঁর কবি বন্ধুদের কাছে আসার সুযোগ পান৷ নেত্রকোণার সুন্দর সাহিত্যিক পরিমন্ডলে তাঁর দিন ভালোই কাটতে থাকে৷ একসময় এসে যায় আই.এস.সি পরীক্ষা৷ ১৯৬৪ সালের জুন মাসে আই.এস.সি পরীক্ষায় ঢাকা বোর্ডের ১১৯ জন প্রথম বিভাগ অর্জনকারীর মাঝে তিনিই একমাত্র নেত্রকোণা কলেজের৷ পরবর্তীতে বাবা চাইতেন ডাক্তারী পড়া৷ কিন্তু না তিনি চান্স পান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগে ৷ ভর্তির প্রস্তুতি নেন নির্মলেন্দু গুণ ৷ হঠাত্‍ হিন্দু-মুসলমান দাঙ্গা শুরু হয় ঢাকায়৷ দাঙ্গার কারণে তিনি ফিরে আসেন গ্রামে৷ ঢাকার অবস্থার উন্নতি হলে ফিরে গিয়ে দেখেন তাঁর নাম ভর্তি লিষ্ট থেকে লাল কালি দিয়ে কেটে দেওয়া৷ আর ভর্তি হওয়া হলো না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ৷ ফিরে আসেন গ্রামে ৷ আই.এস.সি-তে ভালো রেজাল্ট করায় তিনি ফার্স্ট গ্রেড স্কলারশিপ পেয়েছিলেন ৷ মাসে ৪৫ টাকা, বছর শেষে আরও ২৫০ টাকা৷ তখনকার দিনে অনেক টাকা৷ ১৯৬৯ সালে প্রাইভেটে বি.এ. পাশ করেন তিনি, যদিও বি.এ. সার্টিফিকেটটি তিনি তোলেননি। ১৯৬৫ সালে আবার বুয়েটে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন৷

তাঁর বিখ্যাত কাব্যগ্রন্ত্রগুলির মধ্যে রয়েছে --- হুলিয়া, অসমাপ্ত কবিতা, মানুষ, প্রেমাংশুর রক্ত চাই, আফ্রিকার প্রেমের কবিতা, নিরঞ্জনের পৃথিবী ইত্যাদি।

সূত্র: উইকিপিডিয়া

 

সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/18/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate