জন্ম : ১৮ মার্চ ১৯১২ কলকাতায়। পিতা সতীশচন্দ্র মিত্র। শিক্ষা চেতলা স্কুল, আশুতোষ কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। রেলে চাকরি করতে করতে সাহিত্যচর্চা। প্রথম উপন্যাস 'চাঁই'। পাঁচের দশকের 'সাহেব বিবি গোলাম' উপন্যাস লিখে বিখ্যাত হয়ে ওঠেন। এর পর রেলের চাকরি ছেড়ে পুরোপুরি সাহিত্যসৃষ্টিতে আত্মনিয়োগ। তাঁর অন্যান্য বিখ্যাত উপন্যাস 'কড়ি দিয়ে কিনলাম', 'একক দশক শতক', 'চলো কলকাতা', 'পতি পরম গুরু', ‘আসামী হাজির’ ইত্যাদি। প্রায় পাঁচশোটি গল্প ও শতাধিক উপন্যাসের লেখক বিমল মিত্র তাঁর 'কড়ি দিয়ে কিনলাম' গ্রন্থের জন্য ১৯৬৪ সালে রবীন্দ্র পুরস্কারে ভূষিত হন। এ ছাড়াও বহু পুরস্কার ও সম্মান লাভ করেন। তাঁর রচনা ভারতের বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত হয়েছে। প্রয়াণ ২ ডিসেম্বর, ১৯৯১।
এত সহজ করে আর কারও কলমে ইতিহাসকে কথা বলতে দেখা যায়নি। ১৭৫৭ থেকে ১৯৬২ সালের সময়কাল নিয়ে তার লেখা পাঁচটি ভিন্ন কাহিনির উপন্যাস যথাক্রমে ‘বেগম মেরি বিশ্বাস’, ‘সাহেব বিবি গোলাম’, ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’, ’একক দশক শতক’ আর ‘চলো কলকাতা’। কথায় কথায় জেনে ফেলার আগ্রহজাগানিয়া কলকাতার ইতিহাস।
বিমল মিত্রের লেখার অনুরাগীরা বলে থাকেন, বাংলায় আর কোনও বই না পড়লেও প্রত্যেক বাঙালির এই কয়েকটা বই অবশ্যই পড়ে রাখা উচিত।
নিজের সম্পর্কে নিজেই মূল্যায়ন করেছেন বিমল মিত্র “...সত্যিই আমার কিছু হয়নি। অবশ্য তা নিয়ে আমি দুঃখও করি না। কারণ জীবনে যে কিছু হতেই হবে তারই বা কী মানে আছে। আকাশের আকাশ হওয়া কিংবা সমুদ্রের সমুদ্র হওয়াটাই তো যথেষ্ট। লেখক আমি হতে না-ই বা পারলাম, মূলতঃ আমি একজন মানুষ। মানুষ হওয়াটাই তো আমার কাছে যথেষ্ট ছিল। কারণ তরুলতা অরি সহজেই তরুলতা, পশু-পাখি অতি সহজেই পশু-পাখি, কিন্তু মানুষ অনেক কষ্টে অনেক দুঃখে অনেক যন্ত্রণায় অনেক সাধনায় আর অনেক তপস্যায় তবে মানুষ। আমি কি সেই মানুষই হতে পেরেছি?”
মানুষ হতে পেরেছিলেন কিনা, নিজের কাছে সে প্রশ্ন রেখেছিলেণ বিমল মিত্র। কিন্তু বাংলা কথাসাহিত্যে তিনি যে একজন পথিকৃৎ ছিলেন তাতে সন্দেহ নেই।
সূত্র: উইকিপিডিয়া
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019