শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় ভারতীয় বাংলা চলচ্চিত্র এবং টেলিভিশনের এক জন উজ্জ্বল তারকা। তাঁর পিতা ছিলেন বিখ্যাত অভিনেতা শুভেন্দু চট্টোপাধ্যায়। তিনি সমরেশ মজুমদারের কালপুরুষ উপন্যাসের ওপর ভিত্তি করে শৈবাল মিত্র কর্তৃক নির্মিত ধারাবাহিকে অভিনয়ের মাধ্যমে এ জগতে প্রবেশ করেন। সন্দীপ রায়ের পরিচালনায় ফেলুদা ধারাবাহিকে তিনি তোপসে চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে বিখ্যাত হন। ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সুজয় ঘোষের বিখ্যাত চলচ্চিত্র ‘কহানি’র মাধ্যমে তিনি খ্যাতির শিখরে আরোহণ করেন। এতে তিনি খুনি 'বব বিশ্বাস'-এর চরিত্রে অভিনয় করেন। এই চলচ্চিত্রে তার অভিনয় মোগাম্বো এবং গব্বর সিং-এর সাথে তুলনা করা হয়। এতে অভিনয়ের ফলে তিনি আন্তর্জাতিক ভারতীয় চলচ্চিত্র আকাদেমি পুরস্কারের (আইআইএফএ) জন্য মনোনীত হন (খলনায়ক হিসেবে)। প্রায় একই সঙ্গে অনীক দত্তের পরিচালনায় ‘ভূতের ভবিষ্যৎ’ ছবিতে ‘হাত কাটা কার্তিক’-এর ভূমিকায় অভিনয় করে দর্শকদের বিস্মিত করেন মেঘে ঢাকা তারা চলচ্চিত্রে তাঁর অভিনয় সর্বত্র প্রশংসিত হয়। এখানে তিনি ঋত্বিক ঘটকের চরিত্রে অভিনয় করেন। এটি বর্তমান সময়ের অন্যতম প্রশংসিত ছবি। অনীক দত্তের দ্বিতীয় ছবি ‘আশ্চর্য প্রদীপ’- এ শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয় ফের দর্শকদের নজর কাড়ে।
শাশ্বত ১৯ ডিসেম্বর, ১৯৭০ সালে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই তিনি থিয়েটার এবং অন্যান্য অভিনয় দেখতে পছন্দ করতেন।
তিনি শৈবাল মিত্রের ধারাবাহিকে অভিনয়ের মাধ্যমে এই ভুবনে প্রবেশ করেন। সন্দীপ রায়ের ফেলুদায় তোপসের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি জনপ্রিয়তা লাভ করেন। ধীরে ধীরে তিনি আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠতে থাকেন। ২০১২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত তুমুল জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ‘কহানি’তে অভিনয় করে তিনি সারা ভারত জুড়ে বিখ্যাত হন। এখানে তার বিপরীতে অভিনয় করেন বিদ্যা বালান। এই চলচ্চিত্রে তিনি ঠান্ডা মাথার খুনির চরিত্রে অভিনয় করেন।
১৪ই জুন, ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র মেঘে ঢাকা তারা অত্যন্ত বিখ্যাত হয়। কমলেশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়-এর পরিচালনায় এই চলচ্চিত্রে তিনি বিখ্যাত পরিচালক ঋত্বিক ঘটকের চরিত্রে অভিনয় করেন। এই চলচ্চিত্রে তৎকালীন সমাজের সামাজিক-রাজনৈতিক বিভিন্ন ব্যাপার অত্যন্ত নিপুণভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এতে তিনি নীলকন্ঠ বাগচির চরিত্রে (মুখ্য চরিত্র) অভিনয় করেন।
সূত্র: উইকিপিডিয়া
সর্বশেষ সংশোধন করা : 5/15/2020