শিটের আকারে কাগজকলে মণ্ড পৌঁছয়। জলে ফলে একে ছাড়ানো হয়। এর স্বচ্ছতা কমানোর জন্য এতে চিনা মাটি বা খড়ি মেশানো হয়। কাগজ যাতে জল গ্রহণ করতে পারে অর্থাৎ এর ওপর যাতে কালি দিয়ে লেখা যায়, সে জন্য কাগজে রজন মেশানো হয়। রঙিন করার জন্য রঞ্জক পদার্থ মেশানো হয়। মিশ্রণ যন্ত্রে সব কিছু মেশানো হয়। এর পর বিটিং যন্ত্রের কাজ শুরু হয়। মণ্ডের ফাইবারকে এই যন্ত্রে উপযুক্ত করে তোলা হয়। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই কাগজের গুণমান নির্ধারিত হয়। শেষ পর্যন্ত যা প্রস্তুত হয়, তাকে বলে স্টক। তারের তৈরি একটি বেল্টের মাধ্যমে স্টক বেরিয়ে আসে। বেল্টের পাশের দিকে ঝাঁকুনির ফলে ফাইবারের বাঁধুনি ভালো হয়। তারের তলা দিয়ে জল বেরিয়ে যায়। এই জালের ওপরের তলে একটি বিশাল রোলার থাকে। এই রোলারের নক্সার উন্নতি ঘটিয়ে ওই জালে জলছাপ বসানো যায়। এই জালটি যখন এক জোড়া রোলারের মধ্য দিয়ে যায়, তখন তা আরও বেশি পরিমাণে জল ঝরিয়ে দেয়। এর পর এটি উত্তপ্ত লোহার সিলিন্ডারের ওপর দিয়ে যায়, তখন বেশির ভাগ জল ঝরে যায়। যদি সিলিন্ডারগুলি পালিশ করা থাকে তা হলে কাগজও ঝকঝকে হয়। শেষে কাগজ রিলের আকারে প্রস্তুত হয়ে যায়।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/23/2020