কাঠ থেকে কাগজ তৈরির সময় গুঁড়িগুলিকে নির্দিষ্ট আকারে আনা হয় এবং ছাল তুলে নেওয়া হয়। তার পর কাঠটিকে জলে ভিজিয়ে ঘুরন্ত শানপাথরে ঘষে কাগজের মণ্ডে পরিণত করা হয়। জলের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে কাগজে আঁশের পরিমাণও নিয়ন্ত্রণ করা যায়। যেমন- জলের ব্যবহার কমিয়ে দিলে অনেক তাপ উৎপন্ন হয় এবং দীর্ঘ আঁশ তৈরি হয়। নিউজপ্রিন্টের জন্য এই যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় মণ্ড তৈরি হয়ে থাকে।
রাসায়নিক প্রক্রিয়ার কাঠের গুঁড়িগুলিকে টুকরো টুকরো করা হয়। এর পর টুকরোগুলিকে কোনও অম্ল বা ক্ষারের উপস্থিতিতে প্রবল চাপে সেদ্ধ করা হয়। কাঠের টুকরোর মাপ, রাসায়নিকের শক্তি এবং চাপের ওপর মণ্ডের সূক্ষ্মতা নির্ভর করে।
পরিষ্কার করার যন্ত্রে প্রবল বেগে ঘুরিয়ে মণ্ড থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেওয়া হয়। যন্ত্রের ওপর থেকে বিশুদ্ধ মণ্ড বেরিয়ে আসে। ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করে কাগজ অতিরিক্ত সাদা করা হয়। এর পর চ্যাপ্টা চালুনিতে করে মণ্ডকে শুকনো হয়। এই অবস্থায় কাগজ বিভিন্ন মিলে পাঠানো হয়।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019