এই বন্ধন শক্তির জন্যই নিউক্লিয়নগুলি নিউক্লিয়াসের মধ্যে থাকে। এই দেওয়ালকে ভাঙার জন্য অর্থাৎ নিউক্লিয়াসকে ভাঙার জন্য বাইরে থেকে শক্তি প্রয়োগ করতে হয়, যেমন পাত্রের জলের ক্ষেত্রে করতে হয়েছিল। বন্ধন শক্তি যত কম হয়, তাকে ভাঙা ততই সহজ, নিউক্লিয়াস ততই অস্থায়ী চরিত্রের। বিভিন্ন পরমাণুর নিউক্লিয়াসের স্থায়িত্ব নানা ধরনের। বিষয়টা বোঝার সহজ উপায় হল, ধরে নেওয়া যাক, নিউক্লিয়াস অভ্যন্তরস্থ প্রতিটি নিউক্লিয়নের মধ্যেকার বন্ধন শক্তির মান খ। আমরা দেখব, বেশির ভাগ নিউক্লিয়াসে খ ধ্রুবক। যার মান 8MeV । সাধারণ রাসায়নিক বিক্রিয়ায় কিছু ইলেকট্রন ভোল্ট শক্তি যুক্ত থাকে, এক MeV, এর থেকে কয়েক লক্ষ গুণ বড়। নিউক্লিয়ার রূপান্তরের প্রক্রিয়ায় এর চেয়ে অনেক গুণ বেশি শক্তি যুক্ত থাকে। বন্ধন শক্তির রেখচিত্র যদি আমরা খুঁটিয়ে দেখি, তা হলে দেখব ক=60-র সময়ে এটি সর্বোচ্চ স্তরে ওঠে। এটা মোটামুটি ভাবে লোহার নিউক্লিয়াসের সঙ্গে সম্পর্ক যুক্ত।
ক যতই ৬০ এর চেয়ে বেশি হয়, খ-এর মান ক্রমাগত কমতে থাকে। এই বিষয়টাই নিউক্লিয়ার বিভাজনের ক্ষেত্রে কাজে লাগানো হয়, যার থেকে নিউক্লিয়ার শক্তি তৈরি হয় এবং পরমাণু বোমাও তৈরি হয়।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/29/2020