অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

পৃথিবীর পরিক্রমা

পৃথিবীর পরিক্রমা

পৃথিবী কত জোরে ঘোরে ? সবাই জানি, নিজের কক্ষপথে এক বার ঘুরতে ২৪ ঘণ্টা সময় নেয়। সে জন্যই আমরা ২৪ ঘণ্টায় এক দিন বলি। এই গতিতেই, যেখানে আমরা থাকি, পৃথিবীর সেই তলটি আবর্তন করে থাকে। কিন্তু পৃথিবীর অন্য অংশগুলো ? শুনতে খুবই হালকা প্রশ্ন মনে হচ্ছে। কারণ, যদি পৃথিবীর মাটির ১০০ কিলোমিটার নীচের অংশ যদি অন্য গতিতে আবর্তন করত তা হলে নীচের ও ওপরের তলের ঘর্ষণে পৃথিবী দু’টুকরো হয়ে যেত। তাই গোটা পৃথিবীকেই একই গতিতে ঘুরতে হয়। কিন্তু প্রশ্নটা কোনও মতেই তুচ্ছ নয়। তোমরা কখনও ঘুরন্ত ডিম নিয়ে পরীক্ষা করতে পারো। পৃথিবীর তলের নীচে দু’টি স্তর থাকে, এগুলিকে বলে ম্যান্টল এবং তার নীচে কোর। কোর অংশটি লোহার তৈরি বলে মনে করা হয়। এটা কিছুদূর অবধি তরল কিন্তু সব চেয়ে নীচের অংশটি কঠিন লোহা দিয়ে তৈরি। এটা দেখার মতো, ২৪০০ কিলোমিটারের বিশাল লোহার স্ফটিক, প্রায় চাঁদের আকারের। এটাই পৃথিবীকে প্রয়োজনীয় স্বাধীনতা দিয়ে থাকে। তরল অংশ দ্বারা পৃথকীকৃত কঠিন অংশটি আলাদা গতিতে ঘুরতে পারে। গ্যারি গ্লাৎজমাইয়ার এবং পল রবার্টস নামে দুই মার্কিন বিজ্ঞানী এটা প্রথম বলেন। তাঁরা কিছু অঙ্ক কষে বলেন কঠিন অংশটির ২৪ ঘণ্টার থেকে সামান্য দ্রুত গতিতে ঘোরা উচিত। ভূতত্ত্ববিদ জিয়াওডং সং এবং ভূকম্পবিদ পল রিচার্ডস দেখেন গ্লাৎজমাইয়ার এবং রবার্টস সম্পূর্ণ ঠিক বলেছেন। ভেতরের অংশ এক দিনের থেকে ১ সেকেন্ড কম সময়ে আবর্তন করে থাকে। যদি একটু নাটকীয় ভাবে বলা যায়, তা হলে বলতে হয়, ১৯০০ সালে আফ্রিকার পশ্চিম প্রান্তের ভেতরের অংশটি বর্তমানে আমাদের পায়ের নীচে রয়েছে। তারা এটা কী ভাবে জানতে পারলেন। একটি ভূমিকম্পের তরঙ্গ (যন্তর মন্তর, নভেম্বর-ডিসেম্বর, ১৯৯৩) গোটা পৃথিবীর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছিল। তরঙ্গটি যখন পৃথিবীর একেবারে কেন্দ্র দিয়ে যাচ্ছিল, তখন আন্টার্কটিকায় কাঁপুনি টের পাওয়া যায়, যা আলাস্কায় রেকর্ড করা হয়। কারণ তরঙ্গটি পূর্ব দিকে যাচ্ছিল এবং কেন্দ্র দিয়ে যাওয়ার জন্য এটা কিছুটা দ্রুত যাচ্ছিল। অন্য একটি তরঙ্গ, যেটি পশ্চিমমুখী ছিল, সেটি নিউজিল্যান্ডে ভূমিকম্প ঘটায়, যা নরওয়েতে রেকর্ড করা হয়, সেটি ছিল কিছুটা ধীর গতির। তথ্যগুলি থেকে সং এবং রিচার্ডস বুঝতে পারেন পশ্চিমের তরঙ্গটি সত্যিই একটু ধীর গতিতে গিয়েছিল। এর থেকেই তাঁরা পৃথিবীর একেবারে গভীর অংশের গতিবেগ মাপেন। কিছু প্রশ্ন ওঠে। পদার্থবিদরা জানেন, এই ধরনের গতির তফাতের ফলে বিদ্যুৎ তৈরি হয় (এ ক্ষেত্রে কয়েক কোটি অ্যাম্পিয়ার), যা কঠিন অভ্যন্ত এবং তরল অভ্যন্তরের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়। এই বিদ্যুৎ নিশ্চয় চৌম্বক ক্ষেত্রের তৈরি করে। পৃথিবীর চৌম্বক ক্ষেত্র কি কোনও ভাবে এর সঙ্গেই যুক্ত ?

সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/29/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate