মঙ্গলের কক্ষপথে অভিযান বা মঙ্গলায়ন হল একটি মহাকাশযান যেটি ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে মঙ্গলের কক্ষপথে ঘুরছে। এই যানটি ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর মহাকাশে পাঠিয়েছিল।
এটি একটি ‘প্রযুক্তি প্রদর্শক’ অভিযান--- এর লক্ষ্য গ্রহ থেকে গ্রহে চলাচলের উপযুক্ত যানের উপযোগী নকশা, পরিকল্পনা, পরিচালনা ও কার্যক্রমের বিকাশ ঘটানো। যদিও বৈজ্ঞানিক লক্ষ্যগুলি পূরণ করা এর প্রধান উদ্দেশ্য নয়, তবু জেনে রাখা দরকার, মঙ্গল সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের জন্য এটিতে পাঁচটি যন্ত্র আছে।
এই মহাকাশযানটি ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর সকাল ৯টা ৮ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারের প্রথম লঞ্চপ্যাড থেকে উৎক্ষেপণ করা হয়। এর জন্য পিএসএলভি রকেট সি২৫ ব্যবহার করা হয়েছিল। লঞ্চ উইন্ডোটি প্রায় ২০ দিন দীর্ঘ ছিল এবং এটা শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালের ২৮ অক্টোবর। এই যানটি প্রায় ১ মাস পৃথিবীর কক্ষপথে ছিল, সেখানে সে মঙ্গলের দিকে যাত্রা করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সেরে ২০১৩ সালের ৩০ নভেম্বর পৃথিবীর কক্ষপথ ত্যাগ করে। এর জন্য পিএসএলভি রকেট সি২৫ ব্যবহার করা হয়েছিল। লঞ্চ উইন্ডোটি প্রায় ২০ দিন দীর্ঘ ছিল এবং এটা শুরু হয়েছিল ২০১৩ সালের ২৮ অক্টোবর। এই যানটি প্রায় ১ মাস পৃথিবীর কক্ষপথে ছিল, সেখানে সে মঙ্গলের দিকে যাত্রা করার জন্য কিছু প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি সেরে ২০১৩ সালের ৩০ নভেম্বর পৃথিবীর কক্ষপথ ত্যাগ করে। ২৯৮ দিন যাত্রা করার পর ২০১৪ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর এটি মঙ্গলের কক্ষপথে ঢুকে পড়ে।
এটি ভারতের প্রথম ভিনগ্রহে অভিযান। ইসরো হল চতুর্থ মহাকাশ সংস্থা, যারা মঙ্গলে পৌঁছল। এর আগে পৌঁছেছে সোভিয়েত স্পেস প্রোগ্রাম, নাসা ও ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি। ভারতই প্রথম দেশ যে প্রথম চেষ্টাতেই মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছল এবং এশিয়ার প্রথম দেশ যে মঙ্গলের কক্ষপথে পৌঁছল।
মহাকাশযানটির ওপর বর্তমানে বেঙ্গালুরুতে ইসরো টেলেমেট্রি ট্র্যাকিং অ্যান্ড কম্যান্ড নেটওয়ার্ক-এর, স্পেসক্রাফ্ট কন্ট্রোল সেন্টার থেকে নজর রাখা হচ্ছে । তাকে সহায়তা করছে বায়ালালুর ইন্ডিয়ান ডিপ স্পেস নেটওয়ার্কের অ্যান্টেনা।
সূত্র : উইকিপিডিয়া
সর্বশেষ সংশোধন করা : 8/27/2019