আমরা কেমন করে শব্দতরঙ্গ শুনি ? কম্পন বা সংকোচন ও প্রসারণ আমাদের কানের পর্দায় যথেষ্ট কম্পনের সৃষ্টি করে যাতে আমাদের মস্তিষ্ট সেটা শুনতে পায়। আমাদের কান সব শব্দ শুনতে পায় না। সেই সব শব্দই আমরা শুনতে পাই, যে সব শব্দ তরঙ্গের ফ্রিকোয়েন্সি (প্রতি সেকেন্ডে কম্পনের পরিমাণ) ২০ থেকে ২০০০০-এর মধ্যে থাকে। এই পাল্লাটি বিভিন্ন ব্যক্তির ক্ষেত্রে আলাদা হতে পারে। যে সব শব্দতরঙ্গের ফ্রিকোয়েন্সি শোনার যোগ্য তরঙ্গের থেকে কম হয় সেগুলিকে বলে সাবসোনিক, যেগুলির ফ্রিকোয়েন্সি শোনার যোগ্য তরঙ্গের থেকে বেশি হয়, সেগুলিকে বলে আল্ট্রাসোনিক। আমাদের কাছে শব্দ সেটাই, যা আমরা শুনতে পাই। শব্দ হল কম্পনসৃষ্ট গতির তরঙ্গ, সেটা মানুষ শুনতে পাক বা না পাক।
কারও মনে প্রশ্ন জাগতেই পারে, কম্পনের গতি কেমন? শব্দের গতি নির্দিষ্ট নয়। বিভিন্ন মাধ্যমে এর গতি আলাদা হয়। একই মাধ্যমেও আলাদা তাপমাত্রায় শব্দের গতি আলাদা হয়। কঠিন মাধ্যমের তুলনায় তরলে শব্দ ধীরে চলে। যে হেতু মাধ্যমের ঘনত্বের ওপর শব্দের গতি নির্ভর করে তাই শব্দের ক্ষেত্রে কঠিন পদার্থ তরলের থেকে বেশি সুপরিবাহী, তরল গ্যাসের থেকে বেশি সুপরিবাহী। তাপমাত্রার উপরেও গতি নির্ভর করে। কিন্তু সাধারণ ভাবে শব্দের গতি প্রতি সেকেন্ডে ৩৪৪ মিটার।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/4/2020
শব্দ দূষণ এবং বর্জ্য ও জল দূষণ নিয়ে এখানে আলোচনা ক...
কী করে শব্দের সৃষ্টি হয় তা এখানে ব্যাখ্যা করা হয়েছ...
শব্দের তীব্রতা, গভীরতা, প্রখরতা সম্পর্কে সংক্ষেপে ...