সব সময়েই আমরা সবাই কিছু না কিছু গান শুনে থাকি। আমরা রেডিওতে খবর বা অন্যান্য অনুষ্ঠানও শুনি। আমরা বেশির ভাগই শব্দ নিয়ে মাথা ঘামাই না, ভাবি না শব্দ কোথা থেকে আসে। যখন তোমাদের দু’টো হাতকে একে অপরের সঙ্গে সজোরে ধাক্কা দাও তখন কেন শব্দ হয়। অথবা যখন তুমি ক্রিকেট বলটা প্রতিবেশীর বাড়ির জানলার কাচে মারো, তখন কেন জোরে শব্দ হয়।
এসো আমরা শব্দকে বোঝার চেষ্টা করি। যে কোনও বিশৃঙ্খলা যখন বাতাস বা জলের মতো মাধ্যম দিয়ে প্রবাহিত হয় এবং আমরা সেটা কানে শুনতে পাই, তখন তাকে বলে শব্দ। কিন্তু কেন এই গোলমাল বাধে আর কেন তা কোনও মাধ্যমের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয় ? যখন কোনও বস্তু কাঁপে তখন সেই কাঁপুনি আশেপাশের বাতাস বা অন্য কোনও মাধ্যমে পর্যায়ক্রমিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। এই বিশৃঙ্খলাগুলি হল চাপের তরঙ্গ। এর অর্থ মাধ্যমে চাপের পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তন ঘটায় কম্পন।
ধর তোমার কাছে একটা গিটার আছে এবং তুমি তার একটা তার ধরে নাড়ালে। এতে শব্দ উৎপন্ন হবে। কী করে হবে ? তারের কোনও এক দিকে আন্দোলন তার ঠিক পেছনের বাতাসের অণুগুলিকে ধাক্কা দেবে। সেখানে অনেকগুলি অণু জড়ো হয়ে যাবে। তারটি এর পর যখন আগের স্থানে ফিরে আসবে তখন সে যে স্থানটি ছেড়ে আসবে সেখানে অনেক কমঅণু থাকবে। এর মধ্যে যে অণুগুলি এক জায়গায় জড়ো হয়েছে, তার আশেপাশের অণুগুলিতে তাদের কিছু শক্তি প্রেরণ করবে। ফাঁকা হয়ে থাকা জায়গাটিতে অণুগুলি ফেরত আসবে। অর্থাৎ গিটারের তারের থেকে সৃষ্ট কম্পন গতি বাতাসে পর্যায়ক্রমে সংকোচন ও প্রসারণের সৃষ্টি করবে (অণুর জড়ো হওয়া ও ফাঁকা হয়ে যাওয়া)।
সংকোচন ও প্রসারণ একত্রে একটি শব্দতরঙ্গ সৃষ্টি করে। এই ধরনের তরঙ্গকে বলে অণুদৈর্ঘ্য তরঙ্গ, কারণ তরঙ্গের অভিমুখ অনুযায়ী কম্পনের গতি সামনে ও পেছনে হতে থাকে। যে হেতু এই তরঙ্গে অণুগুলির মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির মধ্য দিয়ে এগোয় তাই শব্দতরঙ্গ তৈরির জন্য মাধ্যম অবশ্য প্রয়োজনীয়। আমরা জানি, শব্দতরঙ্গ শূন্যস্থানের মধ্য দিয়ে যেতে পারে না।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 8/9/2019
শব্দের তীব্রতা, গভীরতা, প্রখরতা সম্পর্কে সংক্ষেপে ...
কী করে আমরা শব্দ শুনি তা এখানে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
শব্দ দূষণ এবং বর্জ্য ও জল দূষণ নিয়ে এখানে আলোচনা ক...