যে কারণে লর্ড কেলভিন সারা বিশ্বের মানুষের কাছে অতি পরিচিত এক নাম তা হল, তিনি হলেন তাপমাত্রা পরিমাপক কেলভিন স্কেলের আবিষ্কারক। কেলভিন স্কেল বাদে তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য আন্তর্জাতিক ভাবে আরও দু'টি স্কেলের প্রচলন আছে। এগুলো হল, সেন্টিগ্রেড তথা সেলসিয়াস ও ফারেনহাইট স্কেল। ১৮২৪ সালের ২৬ জুন আয়ারল্যান্ডের বেলফাস্টে জন্ম কেলভিনের। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি গাণিতিক হিসাবের মাধ্যমে পৃথিবীর পরিমাপ দেখানোর চেষ্টা করে একটি রচনা লিখেছিলেন। কেলভিন পড়ালেখা করেছেন গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ে ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে। মাত্র ২২ বছর বয়সে গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে কাজ শুরু করেন কেলভিন। ১৮৪৮ সালে তাপমাত্রা পরিমাপের নতুন একটি পদ্ধতি আবিষ্কার করেন তিনি। এটিই পরবর্তীকালে কেলভিন স্কেল নামে পরিচিতি পায়। আটলান্টিক মহাসাগরের তল দিয়ে দীর্ঘপথে বিদ্যুৎ প্রবাহিত করা যায় কি না এ সংক্রান্ত গবেষণার প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে কাজ করেন তিনি। এ কাজে সফলতার মুখ দেখার পুরস্কার স্বরূপ ১৮৬৬ সালে তিনি নাইট উপাধিতে ভূষিত হন। আরও যে সব ক্ষেত্রে কেলভিন গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন তার মধ্যে রয়েছে, চুম্বকের গাণিতিক ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ, পৃথিবীর বয়স নির্ধারণের ক্ষেত্রে ভূতাত্ত্বিক ব্যাখ্যা ইত্যাদি। কেলভিন বিশ্বাস করতেন, সেই শুরু থেকেই প্রকৃতি সম্পূর্ণ নিয়মের মধ্যে থেকেই সব কাজ করে যাচ্ছে। পৃথিবীতে যত পরিবর্তন ও বিবর্তন ঘটেছে এর সবই হয়েছে একটি গাণিতিক হিসাবের মধ্যে দিয়ে। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকেই সম্মানসূচক ডিগ্রি লাভ করেছেন তিনি। প্রবন্ধ লিখেছেন ৬০০-এর বেশি। ১৮৯৫ সালের ১৭ ডিসেম্বর মৃত্যুবরণ করেন কেলভিন স্কেলের জনক লর্ড কেলভিন।
একনজরে কেলভিনের অবদানসমূহ:
সূত্র : বিশ্বের সেরা ১০১ বিজ্ঞানীর জীবনী, আ. ন. ম. মিজানুর রহমান পাটওয়ারি, মিজান পাবলিশার্স, ঢাকা
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/28/2020