জয়ন্ত বিষ্ণু নারলিকর (জন্ম ১৯ জুলাই ১৯৩৮ - ) এক জন ভারতীয় মরাঠি জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী। বেনারস হিন্দু ও কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী ও মুম্বইয়ের টাটা ইনস্টিটিউট অফ ফান্ডামেন্টাল রিসার্চে কর্মরত এই বিজ্ঞানী স্থিতাবস্থা তত্ত্বের অন্যতম প্রবক্তা। নারলিকর ইংরেজি ও মরাঠি উভয় ভাষায় একাধিক বিজ্ঞান বিষয়ক গ্রন্থের রচয়িতা এবং ভারতের এক বিশিষ্ট কল্পবিজ্ঞান লেখক। মাতৃভাষা মরাঠিতে রচিত তাঁর কল্পবিজ্ঞান কাহিনিগুলি বিভিন্ন ভাষায় অনুদিত হয়েছে। আধুনিক ভারতীয় বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞান লেখকদের মধ্যে নারলিকরের বৈজ্ঞানিক, গবেষকদের মহলে অত্যন্ত শ্রদ্ধেয়। ভারতীয় বিজ্ঞানীদের বিজ্ঞানচর্চার ধারায় নারলিকর উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। দেশ ও বিদেশের বহু সম্মান দ্বারা সম্মানিত হয়েছেন এই বিজ্ঞানী।
জয়ন্ত বিষ্ণু ১৯৫৭ সালে বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে বিএসসি এবং ১৯৬০ সালে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে বিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৬৩ সালে ফ্রেড হয়েলের তত্ত্বাবধানে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৬৪ সালে তিনি গণিতে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৭৬ সালে তিনি গণিতে ডিএসসি (ডক্টর অব সায়েন্স) ডিগ্রি অর্জন করেন।
ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জনের পর জয়ন্ত বিষ্ণু ১৯৭২ সাল পর্যন্ত কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কিংস কলেজের বেরি র্যামজে ফেলো হিসেবে কাজ করেন। ১৯৬৬ থেকে ১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিনি কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব থিওরেটিক্যাল অ্যাস্ট্রোনমিতে প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন।
কেমব্রিজ বিএ ডিগ্রিতে অসাধারণ ফলাফলের জন্য টাইসন মেডেল লাভ করেন। ১৯৬২ সালে তিনি স্মিথ'স প্রাইজ লাভ করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান পদ্মভূষণ লাভ করেন। ১৯৬৭ সালে অ্যাডামস প্রাইজ লাভ করেন। ২০০৪ সালে তিনি ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান পদ্মবিভূষণ লাভ করেন। ২০১১ সালে তিনি মহারাষ্ট্র সরকারের সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মান মহারাষ্ট্র ভূষণ লাভ করেন।
সূত্র : বিশ্বের সেরা ১০১ বিজ্ঞানীর জীবনী, আ. ন. ম. মিজানুর রহমান পাটওয়ারি, মিজান পাবলিশার্স, ঢাকা
সর্বশেষ সংশোধন করা : 12/9/2019