সিক্কিম বা সিকিম ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের একটি রাজ্য এবং উল্লেখযোগ্য পর্যটন কেন্দ্র। সিকিমের রাজধানী সিকিমের রাজধানী ৫,৫০০ ফুট উচ্চতায় অবস্থিত গ্যাংটক।শহর গ্যাংটক। ভারতের আয়তনে দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম প্রদেশ । সিকিমের অধিবাসীরা অর্থাৎ লেপচা এবং ভুটিয়ারা বৌদ্ধধর্মাবলম্বী। এখানে মূলত মহাযান মতে তিব্বতি বৌদ্ধধর্ম চর্চিত হয়ে থাকে।
বৌদ্ধ ক্যালেন্ডারের সপ্তম মাসের পঞ্চদশ দিনে পালিত হয় এই উৎসব। সাধারণত আগস্ট মাসের শেষ দিকে এই উৎসবের দিন পড়ে। সিকিমের তৃতীয় চোগিয়াল, চাকদোর নামগিয়াল এই উত্সবকে জনপ্রিয় করেন। ‘ফাং’ শব্দের অর্থ সাক্ষী। মহাকায় পর্বতশৃঙ্গ কানচেনজোঙ্গাকে (কাঞ্চনজঙঘা) এই উত্সবে পূজা করা হয়। মনে করা হয় কানচেনজোঙ্গা অমিত ক্ষমতার অধিকারী। তিনি সিকিমবাসীদের সব কর্মকাণ্ডের সাক্ষী। এই দিনই লেপচা ও ভুটিয়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে সৌভ্রাতৃত্বের চুক্তি হয়েছিল। সৌভ্রাতৃত্বের ও মৈত্রীর জন্য এই উৎসবে ‘কাই ভুমসা’ ও ‘থেকং টেক’ গাওয়া হয়। অনুষ্ঠানের অন্যতম অঙ্গ মুখোশ নৃত্য। লামারা মুখোশ পরে নাচেন। সিংহের পিঠে অধিষ্ঠাত্রী, মাথায় পাঁচটি করোটির মুকুট পরা এক লালমুখ দেবীর ক্রিয়াকলাপ নাচের মাধ্যমে প্রতিভাত করা হয়।
পশ্চিম সিকিমের তাশিদিং মনাস্ট্রিতে জানুয়ারি মাসে এই উৎসব উদযাপিত হয়। ‘বুম’ শব্দের অর্থ পাত্র, আর ‘চু’ মানে জল। যে পাত্রে পবিত্র জল থাকে উৎসবের সময় সেটি লামারা খোলেন। সেই জলের খানিকটা ভক্তদের মধ্যে বিলি করা হয় এবং পাত্রে আবার জল ভরে মুখ বন্ধ করে রেখে দেওয়া হয় পরের বুমচু উৎসবে খোলার জন্য। পাত্রে কতটা জল আছে তার উপর নির্ভর করে বলা হয় আগামী বছর সিকিমবাসীদের কেমন যাবে। যদি পাত্র পুরোপুরি ভরা থাকে, তা হলে বলা হয় মারামারি, রক্তপাত হবে। যদি পাত্র প্রায় খালি থাকে তা হলে তা দুর্ভিক্ষের ইঙ্গিত। আর পাত্র যদি অর্ধেক ভর্তি থাকে তা হলে তা শান্তি ও সমৃদ্ধির প্রতীক।
সুত্রঃ পোর্টাল কন্টেন্ট টিম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/29/2020