ভারতে ইহুদি সম্প্রদায় সংখ্যায় কম। কিন্তু তাঁদের উত্সবগুলিও যথাযথ উত্সাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হয়।
মিশরীয়দের দাসত্ব থেকে ইহুদিদের মুক্তি পাওয়ার উপলক্ষে এই উত্সব। আট দিনের উত্সবের প্রথম সন্ধ্যায় বিশেষ ভোজনসভা অনুষ্ঠিত হয়; ‘হাগাদা’ থেকে ‘পাস ওভার’-এর কাহিনি পাঠ করা হয়। এই ভোজের খাদ্য ও বিশেষ তাত্পর্যপূর্ণ। যেমন অতীতের যন্ত্রণাদায়ক দাসজীবন স্মরণ করে তেতো খাওয়া হয় আর ডিম নতুন জীবনের দ্যোতনা করে।
ঈশ্বর ছয় দিনে বিশ্ব নির্মাণ করে সপ্তম দিন বিশ্রাম নিয়েছেন — এই বিশ্বাস থেকেই ইহুদি সম্প্রদায় প্রতি শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার রাত পর্যন্ত সাবাথ পালন করেন। ইহুদিদের কাছে সাবাথ বিশ্রামের সময়। সন্ধেবেলা মোমবাতি জ্বালানো, এক সঙ্গে খাওয়াদাওয়া আর সিনাগগে গিয়ে প্রার্থনায় অংশ নেওয়া — এই সব মিলিয়েই সাবাথ উদযাপন।
ঈশ্বরের মানুষকে সৃষ্টি করার দিনটিকে ইহুদিরা নববর্ষ হিসেবে পালন করেন। ‘রোশ হাশানা’র দু’দিনে ঈশ্বর তাঁর বিচার সম্পূর্ণ করেন এবং মানবজাতির ভবিষ্যত নির্ধারণ করে দেন — এই উত্সবের দিনেই ইহুদিরা ঈশ্বরের কাছে কৃতকর্মের জন্য বিচার প্রার্থনা করেন এবং ঈশ্বরের ক্ষমা ও অনুগ্রহ ভিক্ষা করেন। এই উত্সবের মাধ্যমেই ইহুদি নববর্ষের সূচনা হয়।
নভেম্বর–ডিসেম্বর মাসে আলোর উত্সব হানুক্কর পালিত হয় আট দিন ধরে। কথিত আছে ইহদিরা মেনোরা (সপ্তপ্রদীপ) যাতে না জ্বালাতে পারেন সে জন্য গ্রিকরা সমস্ত বিশুদ্ধ তেল নষ্ট করে দেন। সেই তেল প্রস্তুত করতে সাত দিন সময় লাগত। ইহুদিরা অনেক কষ্টে এক দিন জ্বলার মতো তেল জোগাড় করেন কিন্তু ঈশ্বরের অলৌকিক ক্ষমতায় সেই প্রদীপ আট দিন ধরে জ্বলে থাকে আর ইহুদিরাও মেনোরা জ্বালানোর মতো পর্যাপ্ত তৈল তৈরি করতে সমর্থ হন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই এ উত্সব।
‘রোশ হাশানা’–র দশ দিন পর এই উত্সব পালিত হয়। এই দিনেই ঈশ্বর ইহুদিদের ক্ষমা প্রদর্শন করেছিলেন। এই দিন ইহুদিরা যাবতীয় পাপ ও অশুভ কৃতকর্মের প্রায়শ্চিত্তের জন্য উপবাস পালন করেন ও ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করে প্রায়শ্চিত্ত করেন।
সুত্রঃ পোর্টাল কন্টেন্ট টিম
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/21/2020