অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

নানা খ্রিস্টান উৎসব

যিশু খ্রিস্টের জন্ময়জন্তী

প্রত্যেক খ্রিস্টানের কাছেই সব থেকে আনন্দের উত্সব যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন উদযাপন বা বড়দিন পালন করা। সারা পৃথিবী জুড়েই এই উত্সব ২৫ ডিসেম্বর তারিখে পালিত হয়। যদিও যিশু খ্রিস্ট ঠিক এই দিনেই জন্মেছিলেন কি না তা নিয়ে নানা মহলে নানা বিতর্ক আছে। তিনশো ছত্রিশ খ্রিস্টাব্দে প্রথম এই দিনে যিশু খ্রিস্টের জন্মদিন পালিত হয়। অনেকেই মনে করেন, প্রভু যিশুর জন্মের আগে থেকেই ২৫ ডিসেম্বরের কাছাকাছি সময়ে যে রোমান উত্সব ‘স্যাটারনালিয়া’ প্রচলিত ছিল সেখান থেকেই ধুমধাম, আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠা, আলো দিয়ে সাজানো, উপহার বিনিময় — এই রীতিগুলি গৃহীত হয়েছে। প্রথম যুগের খ্রিস্টানরা ‘প্যারাডাইস প্লে’ নামক এক ধরনের নাট্যাভিনয় করতেন, যার বিষয় বস্তু মানবজাতির উদ্ভব। সেই নাটকেই ইডেনের বাগানের প্রতীক হিসেবে একটি গাছ আর তার ডালে আপেল বেঁধে ব্যবহার করা হত। সেখান থেকেই বড়দিনে খ্রিস্টমাস ট্রি-এর প্রচলন শুরু হয়েছে। যা-ই হোক ভারতে বড়দিনের ধর্মীয় অনুষ্ঠান বাদে উত্সবের দিকগুলি আর শুধু খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। সারা ভারত জুড়েই এই উত্সব পালিত হয়।

হোলি উইক বা পবিত্র সপ্তাহ

যিশু খ্রিস্টের জীবনের শেষ সপ্তাহের স্মরণে খ্রিস্টান সম্প্রদায় হোলি উইক বা পবিত্র সপ্তাহ পালন করেন। এই সপ্তাহের কয়েকটা দিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মন্ডি থারসডে

জীবনের শেষ সপ্তাহে প্রভু যিশু এই বৃহস্পতিবার এই লাস্ট সাপার-এ অংশ গ্রহণ করেন। এই রাতেই তিনি নিজে হাতে তাঁর বারো জন শিষ্যের পা ধুইয়ে দেন এবং ঘটনাক্রমে এই রাতেই তাঁর এক অন্যতম শিষ্য যে তাঁকে রোমানদের হাতে তুলে দেবেন সে কথা বলেন। কার্যত সে কথাই সত্যি হয়ে ওঠে। ক্যাথলিক সম্প্রদায়ে এই দিনটি উদযাপনের সময়ে সেই ঘটনার স্মরণে ধর্মগুরুগণ বারো জনের পা ধুয়ে দেন।

গুড ফ্রাইডে

খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের কাছে এই দিনটি দু:খের দিন। এই দিন প্রভু যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়। এই দিন উপবাস পালিত হয়। গির্জাতেও ঘণ্টাধ্বনি করা হয় না।

ইস্টার সানডে

গুড ফ্রাইডের এক দিন পরের রবিবারটি ‘ইস্টার’ হিসেবে পালিত হয়। মোটামুটি ভাবে ইহুদি ক্যালেন্ডারের ‘নিসান’ মাসের চতুর্দশতম কিংবা পঞ্চদশতম দিন অথবা গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ২২ মার্চ থেকে ২৫ এপ্রিলের মধ্যে ক্রুশবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু বরণের পর এই দিনই প্রভু যিশুর রিসারেকশন বা পুনর্জীবন লাভের ঘটনাটি ঘটে। এই অলৌকিক কাণ্ড প্রকৃতপক্ষে মৃত্যুর বিরুদ্ধে জীবনের জয়লাভের প্রতীক – একে ঘিরেই ইস্টার উত্সব। বড়দিনের যেমন ‘সান্টাক্লজ’ তেমনই ইস্টারের ‘ইন্টার বানি’। কাজেই ছোটদের কাছেও এটি উপহার পাওয়ার দিন।

সুত্রঃ পোর্টাল কন্টেন্ট টিম

সর্বশেষ সংশোধন করা : 12/25/2019



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate