যে সব পরিবার মেয়েদের প্রতি বৈষম্যমূলক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন তারা মেয়ের জন্মের আগেই গর্ভপাত করতে চায়। পুত্রসন্তানকে গুরুত্ব দেওয়া হয় কারণ এ রকম একটা ধারণা রয়েছে যে, তারা বংশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে, বয়স হলে বড়দের দেখাশোনা করবে এবং বিয়ের বয়সে পৌঁছলে পরিবারের বোঝা হয়ে দাঁড়াবে না। ১৯৯৪ সালে ভারত সরকার কন্যাভ্রূণ হত্যা বন্ধ করার লক্ষ্যে গর্ভাবস্থায় পরীক্ষা পদ্ধতি আইন পাস করে এবং ২০০২ সালে আইনটি সংশোধন করে।
এই আইন প্রথমত জিন সম্পর্কিত কাউন্সেলিং ক্লিনিক, জিন পরীক্ষাগার এবং জিনসম্পর্কিত ক্লিনিকগুলির নিয়ন্ত্রণের রূপরেখা হাজির করে। এই ধরণের প্রতিটি ক্লিনিককে এই আইনে নথিভুক্ত হতে হয় এবং এই সব ক্লিনিকে যে সব চিকিৎসকরা কাজ করেন, তাঁদের অবশ্যই গর্ভাবস্থায় পরীক্ষানিরীক্ষা করার মতো উপযুক্ত প্রশিক্ষণ থাকতেই হবে। এই আইন মোতাবেক কোনও চিকিৎসক কর্তৃক গর্ভাবস্থায় লিঙ্গ নির্ধারণ বা লিঙ্গ নির্ধারণে সাহায্য করা নিষিদ্ধ।
আরও জানতে দেখুন-Pre-natal Diagnostic Techniques Act, 1994
সর্বশেষ সংশোধন করা : 5/8/2020