অনেক শিক্ষকই এটা মানতে পারেন না ‘দেখতে সুস্থ স্বাভাবিক’, এমন কোনও শিশুর পড়াশোনার ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা থাকতে পারে। অনেকে আবার ভাবেন, শিশুটি অলস, অমনোযোগী। এমনকী তাদের এই অক্ষমতাকে তাঁরা সবার সামনে প্রকাশ করে শিশুটিকে ব্যঙ্গ করেন। শুধু তা-ই নয়, তাঁরা শিশুটিকে বকেন, শাস্তি দেন, যাতে পরবর্তীকালে শিশুটি মনোযোগী হয়ে ওঠে। কিন্তু পড়াশোনায় এই সব শিশুর দুর্বলতা কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে শিক্ষকদেরই প্রধান ভূমিকা নিতে হবে। সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনায় দেখা গেছে, এ ধরনের শিশুদের প্রতি খারাপ ব্যবহারের কারণে অভিভাবকরা শিক্ষকদের অভিযুক্ত করছেন, কোনও কোনও শিক্ষককে বদলি করে দেওয়া হয়েছে, কাজ থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে, এমনকী তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছে। এ সব ক্ষেত্র শিক্ষকরা যুক্তি দেন, তাঁরা শিশুদের শাস্তি দেন যাতে তারা ভালো করে পড়াশোনা করে এবং পরীক্ষায় ভালো ফল করে। যখন কোনও শিক্ষককে ছাত্রের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণের জন্য শাস্তি দেওয়া হয়, তখন শিক্ষকরা যে প্রতিক্রিয়া দেখান তাকে ইতিবাচক মনোভাবের প্রকাশ বলা চলে না। এর চেয়েও বড় কথা, তাঁরা যতটা না কাজের ক্ষেত্রে শিক্ষকের নির্দিষ্ট ভূমিকাটি পালন করছেন, তার চেয়ে অনেক বেশি নিয়ম-মানা কর্মচারীতে পরিণত হয়েছেন।
পড়ুয়া-শিক্ষক সম্পর্ক তখনই ভাল হবে যখন শিক্ষক-
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/16/2020
কেন সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্প হাতে নেওয়া হল, কী পর...
কী ভাবে যৌন নিগ্রহের শিকার হয় শিশুরা তা এখানে বিস্...