সকলের ক্ষেত্রে চিকিত্সার অধিকার সমান। এটা মৌলিক অধিকারের মধ্যেই পড়ে। আইনে বলা আছে, সরকার পরিচালিত বা সরকার নিয়ন্ত্রিত কোনও সংস্থায় সামাজিক বা পেশাগত ভাবে কোনও ব্যক্তির প্রতি লিঙ্গ, ধর্ম, জাত, বিশ্বাস, বংশ, জন্মস্থান প্রভৃতির ভিত্তিতে কোনও বৈষম্যমূলক আচরণ করা যাবে না।
সরকারি স্বাস্থ্য পরিষেবার অধিকার মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। প্রত্যেকটি ব্যক্তিকে সরকারের এই পরিষেবা দেওয়ার কথা। এইচআইভি পজিটিভ ব্যক্তি চিকিৎসার সুযোগ নিতে চাইলে হাসপাতালে ভর্তি চাইলে তা খারিজ করা যায় না। যদি তাঁর চিকিত্সা করা না হয়, তা হলে তিনি আইনের সাহায্য নিতে পারেন।
একই ভাবে, এইচআইভি পজিটিভ কোনও ব্যক্তির প্রতি কর্মক্ষেত্রেও কোনও বৈষম্য করা যায় না। এমন ব্যক্তিকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হলে সেই ব্যাক্তি আইনের সাহায্য নিতে পারেন। কেউ যদি এইচআইভি পজিটিভ হন কিন্তু নিজের কর্মক্ষেত্রে কাজ করার মতো শারীরিক অবস্থা থাকে এবং এতে যদি কারও কোনও ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা না থাকে তা হলে তাঁকে তাঁর কর্মক্ষেত্র থেকে বহিষ্কার করা যাবে না। ১৯৯৭-এর মে মাসে একটি মামলায় এই রায় দেন বম্বে হাইকোর্ট।
১৯৯২ সালে ভারত সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক প্রত্যেকটি রাজ্য সরকারকে এই নির্দেশ দিয়েছে, এই ধরনের রোগীদের প্রতি যত্ন নিতে এবং তাদের প্রতি বিভেদমূলক মনোভাব পোষণ না করতে।
উত্স : আইনহত বিষয় এইচআইভি / এইডস
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/13/2020