অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

যত্ন ও সুরক্ষা প্রয়োজন যে শিশুদের

২ (ঘ) অনুসারে ‘যত্ন ও সুরক্ষার প্রয়োজন’ এমন শিশু হল সেই শিশু

  • • যে ঘরছাড়া অথবা যার জীবনধারণের কোনও উপায় নেই
  • • যে শিশুর বাবা-মা বা অভিভাবক তার দেখাশোনা করতে অক্ষম।
  • • যে শিশু অনাথ বা বাবা-মা দ্বারা পরিত্যক্ত বা বাবা-মা হারিয়ে গেছে বা বাড়ি থেকে পালানো শিশু অথবা যার বাবা-মাকে অনেক অনুসন্ধান করেও পাওয়া যায়নি।
  • • যে শিশু যৌন বা বেআইনি কাজের জন্য নিগৃহীত, অত্যাচারিত বা শোষিত বা যে সহজেই এ ধরনের নিগ্রহের শিকার হতে পারে।
  • • যে শিশু সহজেই মাদকদ্রব্য নেওয়া বা পাচারের শিকার হতে পারে।
  • • যে শিশু নিগৃহীত বা সহজেই নিগ্রহের শিকার হতে পারে।
  • • যে শিশু কোনও সশস্ত্র সংঘর্ষ, গৃহযুদ্ধ বা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার। শিশু কল্যাণ সমিতি
  • • যে সব শিশুর যত্ন ও সুরক্ষা প্রয়োজন তাদের যত্ন, রক্ষা, চিকিৎসা, উন্নয়ন ও পুনর্বাসনের নিষ্পত্তি করতে, তাদের মৌলিক প্রয়োজন মেটাতে এবং তাদের মানবাধিকার রক্ষা করতে আইন অনুসারে প্রতিটি জেলায় বা কয়েকটি জেলার জন্য একটি শিশু কল্যাণ সমিতি তৈরি করার কথা প্রতিটি রাজ্য সরকারের।

সমিতি যা যা করে

যত্ন ও সুরক্ষার প্রয়োজন আছে, এমন শিশুকে সমিতির সামনে পেশ করতে পারে রাজ্য সরকার অনুমোদিত নথিভুক্ত সেচ্ছাসেবী সংস্থা, সমাজসেবী, বিশেষ কিশোর পুলিশ ইউনিট, দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিক, সরকারি কর্মচারী, চাইল্ড লাইন বা সচেতন নাগরিক। শিশুটি নিজেও সমিতির কাছে হাজির হতে পারে।

শিশু কল্যাণ সমিতি শিশুটিকে শিশুদের কোনও হোমে পাঠানো এবং কোনও সমাজকর্মী বা শিশু কল্যাণ আধিকারিককে দিয়ে বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করানোর নির্দেশ দিতে পারে।

যদি তদন্তের পর সমিতি মতামত দেয় যে শিশুটির কোন পরিবার নেই বা স্পষ্ট কোন অবলম্বনও নেই, তবে সমিতি শিশুটিকে ওই হোম বা কোনও আশ্রয়ে থাকতে দিতে পারে যতদিন না তার কোনও যোগ্য পুনর্বাসন হচ্ছে বা শিশুটির ১৮ বছর বয়স হচ্ছে।

মাদকদ্রব্যে আসক্তি

দ্য নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস অ্যাক্ট ১৯৮৫

এই আইন অনুযায়ী যে কোনও ধরনের মাদকদ্রব্যের (নারকোটিক বা সাইকোট্রপিক দ্রব্যের উত্পাদন, নিজের কাছে রাখা, স্থানান্তর করা, কেনা এবং বিক্রয় বেআইনি এবং এতে আসক্ত ব্যক্তি ও পাচারকারির শাস্তির বিধান রয়েছে।

অপরাধী যদি হিংসা ব্যবহার করে বা হিংসার হুমকি দেয় বা অস্ত্র ব্যবহার করে বা শিশুদের ব্যবহার করা হয়, কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বা সমাজকল্যাণমূলক সংস্থায় যদি অপরাধ করা হয়, তা হলে কঠিনতর শাস্তির বিধান রয়েছে।

মাদকদ্রব্যের (নারকোটিক ড্রাগস আর সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস) অবৈধ পাচার রোধ আইন, ১৯৮৮

মাদকদ্রব্য পাচারে যারা শিশুদের কাজে লাগায় তাদের এই আইনে যড়যন্ত্রকারী হিসাবে অপরাধী সাব্যস্ত করা হয়।

কিশোর ন্যায়বিচার (যত্ন ও সুরক্ষা) আইন, ২০০০

মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার বা পাচারে যদি কোনও শিশুকে লিপ্ত করা হয় বা সহজেই লিপ্ত করা যায়, তা হলে সেই শিশুকে এই আইনের ধারা ২ (ঘ) অনুযায়ী ‘যত্ন ও সুরক্ষার প্রয়োজন’ রয়েছে এমন শিশু হিসাবে গণ্য করা হয়।

শিশু ভিখারি

যখন শিশুকে ভিক্ষা করতে বাধ্য করা হয় বা তাকে এই কাজে ব্যবহার করা হয় তখন এই আইনগুলি ব্যবহার হতে পারে :

কিশোর ন্যায়বিচার আইন ২০০০

এই আইনের ২৪ ধারা অনুযায়ী কোনও কিশোর বা শিশুকে ভিক্ষার কাজে নিযুক্ত করা বা ব্যবহার করা বিশেষ অপরাধ হিসাবে গণ্য করা হয় এবং এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ভিক্ষা করানোর জন্য কোনও শিশুকে শোষণ, অত্যাচার ও নিপীড়নের শিকার হতে হলে কিশোর ন্যায়বিচার আইন সেই ‘শিশুর যত্ন ও সুরক্ষার প্রয়োজন’ আছে বলে মনে করে।

ভারতীয় দণ্ডবিধি

ভিক্ষা করানোর জন্য কোনও শিশুকে অপহরণ করা বা তাকে অঙ্গহীন করা ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৩ ক ধারা অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/22/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate