সব অধিকার একে অপরের ওপর নির্ভরশীল এবং অবিভাজ্য। কিন্তু তাদের প্রকৃতিগত কারণে সেগুলি বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত--
- তাৎক্ষণিক অধিকার (নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার )। এগুলির মধ্যে রয়েছে, বৈষম্য ও শাস্তির বিরুদ্ধে অধিকার, ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রে সুবিচার পাওয়ার অধিকার, শিশুদের জন্য আলাদা বিচার ব্যবস্থার অধিকার, জীবনের অধিকার, জাতি সম্পর্কিত অধিকার এবং পরিবারের সঙ্গে পুনর্মিলনের অধিকার
- সুরক্ষা সংক্রান্ত বেশির ভাগ অধিকারই তাৎক্ষণিক অধিকারের মধ্যে পড়ে এবং সেই কারণে দ্রুত মনোযোগ ও হস্তক্ষেপ দাবি করে
- প্রগতির অধিকার (অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অধিকার) যার মধ্যে পড়ে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের অধিকার এবং যেগুলি প্রথম বিভাগে অন্তর্ভুক্ত হয়নি
সিআরসি-র অনুচ্ছেদ ৪-এ এগুলি স্বীকৃত। এতে বলা হয়েছে,
অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক অধিকার গুলির ক্ষেত্রে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলি আন্তর্জাতিক সহায়তার কাঠামোর মধ্যে থেকে তাদের ক্ষমতা অনুযায়ী যতদূর সম্ভব এবং যতটা প্রয়োজন পদক্ষেপ করবে।
দ্রষ্টব্য: বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শিশুরা নানা মাত্রার দক্ষতা ও পরিণতি অর্জন করে। এর মানে এই নয় যে ১৫-১৬ বছর বয়স হয়ে গেলেই আর সুরক্ষার প্রয়োজন নেই। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, আমাদের দেশে অনেক শিশুকেই ১৮ বছরের নীচে বিয়ে করতে হয় এবং কাজ করতে হয়। সমাজ তাদের প্রাপ্তবয়স্ক মনে করে বলে তাঁদের আর সুরক্ষার প্রয়োজন নেই, এমন ভাবার কোনও কারণ নেই। তাদের আগের মতোই সবথেকে বেশি সুরক্ষা, সুযোগ ও সাহায্য পাওয়া দরকার, যাতে তাদের প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে ওঠার পথের শুরুটা সুন্দর হয়।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/18/2020
0 রেটিং / মূল্যাঙ্কন এবং 0 মন্তব্য
তারকাগুলির ওপর ঘোরান এবং তারপর মূল্যাঙ্কন করতে ক্লিক করুন.
© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.