নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রক কন্যাশিশুদের মঙ্গলের জন্য বেশ কয়েকটা পরিকল্পনা রূপায়ণ করছে। ‘ধনলক্ষ্মী’ নামে শর্তসাপেক্ষে কন্যাশিশুদের জন্য অর্থপ্রদানের একটি পরিকল্পনা ২০০৮-০৯ সাল থেকে সাতটি রাজ্যের এগারোটি ব্লকে রূপায়িত হচ্ছে। রাজ্যসভাতে একটি প্রশ্নের লিখিত উত্তরে নারী ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী শ্রীমতি কৃষ্ণা তীরথ এই কথা জানিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, পরিকল্পনাটির অধীনে কন্যাশিশুর পরিবারকে অর্থপ্রদান করা হয় কিছু কিছু শর্ত পূরণ হলে যেমন, জন্ম নথিভুক্তিকরণ, টিকাকরণ, স্কুলে ভর্তি করা এবং অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানো ইত্যাদি। কন্যাটি যদি ১৮ বছর পর্যন্ত অবিবাহিতা থাকে তবে একটি বিমার অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
কিশোরীদের (১১ থেকে ১৮) জন্য কিশোরী শক্তি যোজনা যোজনা প্রকল্পটি (কেএসওয়াই) ৬১১৮টি সুসংহত শিশু উন্নয়ন পরিকল্পনায় (আইসিডিএস) রূপায়ণ করা হচ্ছে। তাদের আত্ম বিকাশ, পুষ্টি এবং শারীরিক অবস্থা, সাক্ষরতা, সংখ্যাজ্ঞান, পেশাগত পারদর্শিতার বাড়াতে আইসিডিএস–এর পরিকাঠামো ব্যবহার করা হচ্ছে ।
পথপ্রদর্শক পরিকল্পনা হিসাবে সারা দেশের ৫১টি জেলায় কিশোরী মেয়েদের জন্য পুষ্টি কর্মসূচি (এনপিএজি) রূপায়িত হচ্ছে। ১১ থেকে ১৯ বছর বয়সি অপুষ্ট কিশোরীদের বিনামূল্যে মাসে ৬ কিলো করে খাদ্যশস্য দেওয়া হয়।
‘ধনলক্ষ্মী’ প্রকল্পের জন্য ২০০৯-১০ আর্থিক বছরে ১০ কোটি টাকা ধার্য করা হয়েছে। কিশোরী শক্তি প্রকল্পে ২০০৯-১০ সালে রাজ্যগুলির জন্য ৭১.৩০ কোটি টাকা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। প্রকল্প-প্রতি বছরে ১.১ লক্ষ টাকা করে অর্থসংস্থান করা হচ্ছে রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে। কিশোরীদের পুষ্টি কর্মসূচির জন্য সর্বসমেত ১৬২.৭৭কোটি টাকা নির্দিষ্ট করা হয়েছে এবং সুবিধাপ্রাপকের সংখ্যার ভিত্তিতে রাজ্যগুলিকে সেই টাকা বন্টন করা হচ্ছে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019