সকলের জন্য শিক্ষার ব্যাপারে ভারত সরকার অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। যদিও এশিয়ায় নারী শিক্ষায় পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর মধ্যে ভারত অন্যতম। ১৯৯১ সালের গণনানুসারে ভারতের ৭ বছর বা তার বেশি বয়সি ৩৩ কোটি মহিলার ৪০ শতাংশেরও কম সাক্ষর, যার অর্থ বর্তমানে ভারতের প্রায় ২০ কোটি মহিলা নিরক্ষর। মহিলাদের শিক্ষার হার এত কম থাকার প্রভাব শুধু মহিলাদের উপরই পড়ে, তা-ই নয়, প্রভাব পড়ে তাদের পরিবার এবং সামগ্রিক ভাবে দেশের আর্থিক বিকাশের উপর। বিভিন্ন ধরনের পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে যে নিরক্ষর মহিলারা সব থেকে বেশি মাতৃত্বকালীন মৃত্যু, অপুষ্টি, অল্প রোজগার, পরিবারে কোণঠাসা হয়ে থাকার মতো সমস্যার শিকার হন । অশিক্ষিত মহিলারা কখনওই নিজের ও তার শিশুর স্বাস্থ্য সম্বন্ধীয় ব্যাপারে সচেতন হন না। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, মায়ের শিক্ষা যত কম, শিশু মৃত্যুর হার তত বেশি। উপরোন্তু শিক্ষিত নাগরিকের অভাব দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাধাস্বরূপ।
কন্যাসন্তান ও মহিলাদের শিক্ষার বিষয়টা ভারত সরকারের কাছে অত্যন্ত প্রাধান্য পেয়েছে। নতুন শতাব্দীতে সব শিশু, বিশেষত মেয়েদের বুনিয়াদি শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য, সম্পদের জোগান বাড়িয়ে ও দৃঢ় নীতিগত অবস্থানের মাধ্যমে ভারত শিক্ষাব্যবস্থার পূর্ববর্তী সংস্কার প্রক্রিয়াকে সংগঠিত করেছে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/13/2019