অর্থমন্ত্রী তাঁর ২০০৬ – ০৭ আর্থিক বছরের বাজেট ঘোষণার সময় অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে এ-ও বলেছিলেন যে (৩৮ নং অনুচ্ছেদ- কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ের খাতে অর্থসংস্থান): -
২০০৪ সালে প্রবর্তিত কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয় প্রকল্পের প্রাথমিক ফলাফল উত্সাহজনক। তফশিলি জাতি, উপজাতি ও অন্যান্য পিছিয়ে থাকা জাতি এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের জন্য ২০০৬-০৭ অর্থবর্ষে ১০০০টি আবাসিক স্কুল খোলা হবে। আমি ১২৮ কোটি টাকার সংস্থান করেছি এবং ওই বছরে আরও বাড়তি ১৭২ কোটি টাকার সংস্থান করতে সম্মত হয়েছি। আরও উত্সাহদানের জন্য আমি প্রস্তাব করছি - যে সব ছাত্রী অষ্টম শ্রেণি পাশ করবে এবং মাধ্যমিক স্কুলে ভর্তি হবে তাদের নামে ৩০০০ টাকা করে জমা দেওয়া হবে এবং ১৮ বছর বয়স হলে তারা ওই টাকাটা তুলতে পারবে।
এই ঘোষণাটি করা হয়েছিল, যারা অষ্টম শ্রেণি পাশ করেছে এবং তার পরে নানা রকম আর্থ-সামাজিক কারণে পড়াশোনা ছেড়ে দিয়েছে, এমন ১৪-১৮ বছর বয়সের মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষার স্তরে নথিভুক্ত করার জন্য। প্রস্তাবিত প্রকল্পটি এই সব ছাত্রীকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ধরে রাখার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। ২০০৪-০৫ শিক্ষাবর্ষে এক থেকে অষ্টম শ্রেণির মধ্যে মেয়েদের পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়ার হার ছিল প্রায় ৫০.৮%। একই বছরে এক থেকে দশম শ্রেণির মধ্যে স্কুলছুট ছাত্রীর হার প্রায় ৬৪%। অতএব দেশের ছাত্রীদের মধ্যে মাত্র ৩৬% কে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ধরে রাখা সম্ভব হয়েছিল। এটা বিভিন্ন রকম আর্থসামাজিক কারণের ফলাফলে ঘটেছিল। কিন্তু সন্দেহ নেই যে, মেয়েদের পড়ানোর খরচ চালাতে পিতামাতাদের অক্ষমতা একটা প্রধান কারণ।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 5/21/2020