শিশুর কোনও পরীক্ষা অথবা মৌখিক প্রশ্ন-উত্তর বা আলাপচারিতা অথবা বাবা-মায়ের কোনও মৌখিক প্রশ্ন-উত্তর বা আলাপচারিতাই হল এক শিশুর বদলে অন্য শিশুকে নেওয়ার বাছাই প্রক্রিয়া। ২(ণ) এবং ১৩(২)(খ) ধারায় এ ধরনের যে কোনও বাছাই প্রক্রিয়া নিষিদ্ধ এবং সেই ধারা মতে কোনও শিশুকে স্কুলে ভর্তি করার ব্যাপারে এলোমেলো ভাবে বেছে নিতে হয়। এই নিষেধাজ্ঞা বেসরকারি ও নবোদয়ের মতো বিশেষ শ্রেণির স্কুল সহ সব স্কুলে প্রযোজ্যই। শুধুমাত্র প্রাথমিক স্তরে বাছাই প্রক্রিয়া চলে জানিয়ে কোনও স্কুল বিশেষ শ্রেণির মর্যাদা দাবি করতে পারে না। এলোমেলো ভাবে বেছে নেওয়া বলতে বোঝায়, যদি আবেদনকারী শিশুর সংখ্যা স্কুলের আসনের থেকে বেশি হয় তা হলে সর্বসমক্ষে লটারি করে শিশু বেছে নিতে হবে। এটা সব ধরনের স্কুলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। লটারির জন্য নানা পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে। সব চেয়ে সহজ হল, একটি মোড়ানো কাগজে শিশুর নাম বা ক্রমিক সংখ্যা লিখে তা একটি বাক্সে রাখা, যেখান থেকে শিশুরা নিজেরাই বাবা-মায়ের সামনে খোলামেলা ও স্বচ্ছ ভাবে কাগজগুলি এক এক করে বের করে আনবে।
‘অসুবিধায় থাকা’ শিশুর সংজ্ঞা ২(ঘ) ধারায় দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে তফশিলি জাতি/উপজাতিভুক্ত শিশুরা এবং সাংস্কৃতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক, ভৌগোলিক, ভাষাগত, লিঙ্গগত মাপকাঠির ভিত্তিতে সামাজিক ও শিক্ষাগত ভাবে পিছিয়ে থাকা অংশের শিশুরা এবং অন্য শ্রেণির শিশুরা যাদের ‘যথাযথ সরকার’ আলাদা ভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ‘অসুবিধায় থাকা’ বলে নির্দিষ্ট করবে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, ‘যথাযথ সরকার’ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা ও উপ জেলায় বিভিন্ন শ্রেণিকে নির্দিষ্ট করতে পারে। যেমন, সাচার কমিটির চিহ্নিত শিক্ষাগত ভাবে পিছিয়ে থাকা ধর্মীয় গোষ্ঠী এবং অন্যান্য। ‘দুর্বল শ্রেণি’-র সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে ২(ঙ) ধারায়। এতে বলা হয়েছে অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল শ্রেণির শিশুরা যাদের ‘যথাযথ সরকার’ আলাদা ভাবে বিজ্ঞপ্তি জারি করে নির্দিষ্ট করবে। এর মাপকাঠি হবে বাবা-মা অথবা অভিভাবকের ন্যূনতম বাৎসরিক আয়।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/13/2020