না, এটা সর্বজনীন। গরিব বা ধনী, ছেলে বা মেয়ে, যে কোনও জাতি, বর্ণ, ধর্মের শিশু, যারা এ দেশে জন্মেছে, তাদের প্রত্যেকেরই এই অধিকার রয়েছে। যদি কোনও ধনী বাবা-মা তার সন্তানকে কোনও সরকারি স্কুলে পড়তে পাঠায়, তা হলে সেই শিশুও নিখরচায় পড়াশোনার যাবতীয় সুযোগ পাবে। শুধুমাত্র সেই সব শিশু, যাদেরকে তাদের বাবা-মা কোনও বেসরকারি স্কুলে পড়াচ্ছেন, তারা আইনের ৮(এ) ধারা অনুযায়ী নিখরচায় পড়ার কোনও সুযোগ পাবে না, তাদের পড়াশোনার কোনও খরচ তারা সরকারের কাছ থেকে ফেরত চাইতে পারবে না (ব্যতিক্রম, পিছিয়ে থাকা/দুর্বল অংশের শিশুদের জন্য সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত নয় এমন স্কুলের ২৫ শতাংশ সংরক্ষণের বিষয়টি ছাড়া, এটি পরে আলোচিত হয়েছে)।
২০০৯ সালের আগস্টে যে আইনটি পাস হয়েছিল, সেখানে প্রতিবন্ধী শিশুদের বিষয়টিতে কিছু ঘাটতি ছিল। পিছিয়ে থাকা গোষ্ঠীর সংজ্ঞায় এদের ঢোকানো উচিত ছিল, কিন্তু অনবধানতাবশত তা বাদ পড়ে যায়। আইনে বলা হয়, তাদের পড়াশোনার বিষয়টি প্রতিবন্ধী সংক্রান্ত আইন, ১৯৯৬ অনুসারে পরিচালিত হবে। কিন্তু সেই আইনে মানসিক প্রতিবন্ধকতার বিষয়টি ছিল না। কেন্দ্রীয় সরকার এই ঘাটতি মেনে নেয় এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সংশোধনী আনা হবে বলে জানায়। সেই সঙ্গে ১৯৯৬ সালের প্রতিবন্ধী সংক্রান্ত আইনটিও সংশোধন করা হবে বলে জানায়।
বাড়াবাড়ি রকমের এবং গভীরতর অক্ষমতার প্রতিটি ক্ষেত্রের শিশুদের শিক্ষাই এই আইনের আওতায় পড়ে।
আইনের ৪ নং ধারায় বলা হয়েছে, স্কুলের বাইরে থাকা প্রতিটি শিশু, সে যদি স্কুলে কখনও ভর্তি না হয়ে থাকে বা ড্রপ আউট হয়ে থাকে (৬-১৪ বছরের মধ্যে), তাকে কোনও নিয়মিত স্কুলে তার বয়স অনুযায়ী শ্রেণিতে ভর্তি করতে হবে। এমনকী ১৪ বছর বয়স পেরিয়ে গেলেও তার প্রাথমিক শিক্ষা সম্পূর্ণ করার অধিকার থাকবে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/20/2020