এই আইনের প্রধান চ্যালেঞ্জগুলি হল,গরিব ছাত্রদের জন্য ২৫ শতাংশ সংরক্ষণকে কার্যকর করা, গ্রহণযোগ্য স্তরের শিক্ষার মানে পৌঁছনোর পাশাপাশি পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সব ছাত্রকে ধরে রাখা, বেসরকারি স্কুলের অনুমোদনের ওপর নজর রাখা, স্কুল পরিচালন কমিটি তৈরি করা এবং সেগুলো যাতে ঠিকমতো কাজ করে তা দেখা এবং একই পদ্ধতিতে যাতে সকল রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে কাজ হয় তা দেখা।
প্রায়শই ‘বিনামূল্যে শিক্ষা’ বলতে বেতন মকুব করে দেওয়াকে বোঝায়। কিন্তু এটা পড়াশোনার মোট খরচের একটা অংশ মাত্র, গরিব পরিবারগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পড়াশোনার অন্যান্য খরচেরও সংস্থান করতে পারে না। এর মধ্যে রয়েছে বই, খাতা, লেখার উপকরণ, পোশাক, পরিবহণ, অক্ষম শিশুদের জন্য পড়াশোনার ও অন্যান্য সহায়ক সামগ্রী (কানে শোনার যন্ত্র, ব্রেইল বই, চশমা, ক্রাচ ও অন্যান্য), এমনকী গ্রন্থাগারের খরচ, গবেষণাগারের খরচ ইত্যাদি যেগুলো বেতনের মধ্যে পড়ে না। প্রাথমিক শিক্ষা চলাকালীন স্কুল ছেড়ে দেওয়ার প্রবণতার প্রধান কারণই হল, সন্তানদের বিশেষত মেয়েদের পড়াশোনার খরচ বাবা-মায়ের জোগাড় করতে না পারা। এ কথা মাথায় রেখে আইনের ৩(২) ধারায় ‘বিনামূল্যে’ কথাটির অর্থ বিস্তৃত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ‘কোনও শিশুকে এমন কোনও খরচ দিতে বাধ্য করা যাবে না, যা তার প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ, চালিয়ে যাওয়া বা শেষ করার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে উঠতে পারে’। শিশু কী কী জিনিস নিখরচায় পাবে, তার একটি তালিকা আদর্শ বিধির ৫(১) বিভাগে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ওতেই বিষয়টি সীমায়িত নয়। ৩(২) ধারা অনুসারে তালিকাভুক্ত নয় এমন কোনও খরচ যদি শিশুর পড়াশোনার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তা হলে সেটাও রাষ্ট্র বহন করবে, যেমন, বাবা মা বাইরে চলে গেলে শিশুকে আবাসিক হিসেবে পড়াশোনার সুযোগ দেওয়া।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 5/24/2020