অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

আরটিই-এর জের, বাড়ছে স্কুলে ভর্তি

আরটিই-এর জের, বাড়ছে স্কুলে ভর্তি

শিক্ষার অধিকার আইনের জেরে ২০০৯ সালের পর থেকে স্কুলের বাইরে থাকা শিশুর সংখ্যা কমেছে ২৬ শতাংশ। মানব কল্যাণ উন্নয়ন মন্ত্রকের করা একটি সাম্প্রতিক সমীক্ষায় এই তথ্য উঠে এসেছে।

ইন্ডিয়ান মার্কেট রিসার্চ ব্যুরের করা এই সমীক্ষা অনুযায়ী ৬-১৪ বছর বয়সী দেশের মোট শিশুর ২.৯৭ শতাংশ অর্থাৎ ৬০.৬ লক্ষ শিশু এই মুহূর্তে স্কুলের বাইরে রয়েছে, ২০০৯ সালে এই সংখ্যাটা ছিল ৮১.৫ লক্ষ। ২০০৫ সালে এই সম্পর্কে যে প্রথম সমীক্ষাটি করা হয়েছিল, তাতে জানা গিয়েছিল ১.৩৪ কোটি শিশু স্কুলে যাওয়ার সুযোগ পায়নি।

লক্ষ করার মত বিষয় হল, স্কুলের বাইরে থাকা শিশুদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা কম (২৮.৯ লক্ষ), সেখানে ছেলেদের সংখ্যা ৩১.৬ লক্ষ। প্রতিটি সমীক্ষাতেই স্কুলের বাইরের শিশুদের মধ্যে মেয়েদের সংখ্যা কমই থাকছে। স্কুলের বাইরে থাকা বস্তির শিশুদের মধ্যেও এই প্রথম এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। দেখা গিয়েছে সংখ্যা ৪.৭৩ লক্ষ।

তফশিলি জাতি ও মুসলিমদের মধ্যে স্কুলের বাইরে থাকা শিশুর সংখ্যা ক্রমেই কমছে। তবে শিক্ষার অধিকার আইনের জেরে সাফল্য তুলনায় কম এসেছে তফশিলি উপজাতিদের মধ্যে। ২০০৯ সালে ১০.৬৯ লক্ষ থেকে ২০১৪-য় সংখ্যাটা সামান্য কমে হয়েছে ১০.০৭ লক্ষ। অন্য দিকে তফশিলি জাতির মধ্যে স্কুলের বাইরে থাকা শিশুর সংখ্যা বর্তমানে ১৯.৬৬ লক্ষ, যেখানে ২০০৯ সালে সংখ্যাটা ছিল ২৩.০৮ লক্ষ এবং ২০০৫ সালে ৩১.০৪ লক্ষ।

সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দেখা গেছে, এখন স্কুলের বাইরে থাকা মুসলিম শিশুর সংখ্যা ১৫.৫৭ লক্ষ। ২০০৯ সালে সংখ্যাটা ছিল ১৮.৭৫ লক্ষ এবং ২০০৫ সালে ২২.৫৩ লক্ষ।

 

অন্ধ্রপ্রদেশ, অসম, বিহার, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, দিল্লি, ওড়িশা, রাজস্থান, উত্তর প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে স্কুলের বাইরে থাকা শিশুর পরিমাণ কমলেও, ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সংখাটা শতাংশের হারে ২০০৯ সালের তুলনায় বেড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, গুজরাত, কর্নাটক, কেরল, ছত্তিসগড়, পঞ্জাব, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাডু এবং উত্তরাখণ্ড।

 

শিক্ষার অধিকার আইনের সুফলের এই ছবিটার মধ্যে একটা অন্য ধরনের তথ্যও রয়েছে। স্কুলের বাইরে থাকা প্রতিবন্ধী শিশুদের সংখ্যার ওঠানামাটা গত এক দশকে আঁকাবাঁকা পথে হয়েছে। ২০০৫ সালে ৫.৮২ লক্ষ প্রতিবন্ধী শিশু স্কুলের বাইরে ছিল, ২০০৯ সালে সংখ্যাটা বেড়ে দাঁড়ায় ৯.৮৮ লক্ষ, এখন তা কমে ৬ লক্ষ।

সূত্রের মতে, আরটিই-র পরিসর বাড়ানো লক্ষ্যে নানা ধরনের মানসিক ও শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে তালিকায় ঢোকানো হয়েছে, তার জেরেই তথ্য পাওয়া গিয়েছে। যদিও সাধারণ ভাবে সবাই মেনে নিচ্ছেন, এই ক্ষেত্রে অনেক কিছুই করার রয়েছে।

সূত্র : অক্ষয় মুকুল, টাইমস অফ ইন্ডিয়া, ১৪ অক্টোবর, ২০১৪।

সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/25/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate