অতীত অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে অসরকারি অংশগ্রহণের নিয়ম বা পদ্ধতি প্রস্তাব করা হয়েছে। পাবলিক ইলেকট্রিফিকেশনে ব্যর্থতা এবং ‘বাজারে প্রথম’ পন্থার সীমাবদ্ধতার ফলে রাজ্যগুলি অংশীদারিত্ব মডেল গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে, যেখানে সরকারি এবং অসরকারি উদ্যোগ জোটবদ্ধ হয়ে কাজ করবে।
গবেষণা ও উন্নয়নের বিকাশ, অনুকূল নীতি প্রনয়ণ, উৎসাহদানকারী পদক্ষেপ গবেষণামূলক সহযোগিতার মাধ্যমে, বাজার উদ্যোগপতিদের মাধ্যমে সরকার পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে চাইছে। সমগ্র বিশ্বে এ পর্যন্ত অনুশীলিত যাবতীয় নীতি ও নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি একত্রিত করে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উন্নয়নের স্বার্থে ভারত এক অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে। প্রতিটি প্রযুক্তিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচের হিসেব অনুযায়ী উৎপাদককে সহায়ক মূল্য প্রদান করার ব্যবস্থা হয়েছে। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির চাহিদা সৃষ্টির লক্ষ্যে ‘পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্রয়ে দায়বদ্ধতা’-র (রিনিউয়েবল পারচেজ অবলিগেশন সংক্ষেপে আরপিও) নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি রাজ্যেই বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক আয়োগ সুনির্দিষ্ট পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্রয় দায়বদ্ধতার ব্যবস্থা করেছে। ২০০৯-১০ অর্থবর্ষে জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হয়েছিল ৫%, এবং পরবর্তী ১০ বছরে বার্ষিক ১% হারে বৃদ্ধির লক্ষ্য ছিল, যাতে ২০২০ সালের মধ্যে ব্যবহার্য বিদ্যুতের ১৫% পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি থেকে পাওয়া যায়। এই নীতিতে ২০১২ সালে সৌরজাত আরপিও ধার্য হয় ২.৫%, যা ২০২২ সালের মধ্যে ৩%-এ উন্নীত করা হবে। যে সব সংস্থা এই দায়বদ্ধতা পূরণে ব্যর্থ হবে, তাদের শাস্তি বিধানের জন্য ‘পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি শংসাপত্র’ (রিনিউয়েবল এনার্জি সার্টিফিকেট, সংক্ষেপে আরইসি) কর্মসূচি গৃহীত হয়েছে। ওই সব সংস্থাকে হয় সমমূল্যের ‘পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি শংসাপত্র’ কিনতে হবে, নয়তো একটা ‘বিরত মাশুল’ দিতে হবে। অধিকন্তু, রাষ্ট্র পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি সহায়ক সরঞ্জাম কেন্দ্র গড়তে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। যেমন গৃহস্থালি পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি প্রযুক্তি উৎপাদন শিল্প। বিশেষত সৌরশক্তির সরঞ্জাম গড়ে তোলার জন্য ‘ডোমেস্টিক কনটেন্ট রিকোয়ারমেন্ট’ নীতি গ্রহণ করেছে।
সূত্র : যোজনা, মে ২০১৪
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020