ভারতে ২০১২ সালে ব্যবহৃত বিদ্যুতের ৭ শতাংশ পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎস থেকে সংগ্রহের জাতীয় লক্ষ্যমাত্রা ধার্য হলেও ওই বছরে ৫ শতাংশের কিছু বেশি রূপায়িত হয়েছে। যদিও সহায়ক মূল্য এবং শাস্তির ব্যবস্থা রয়েছে, কিন্তু সেই ব্যবস্থা অস্পষ্ট এবং তা মানাও হয় না। এ ছাড়া জাতীয় রিনিউয়েবল পারচেজিং অবলিগেশনের লক্ষ্যমাত্রা স্টেট এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন দ্বারা ধার্য রাজ্যগুলির লক্ষ্যমাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। ভারতের এই কার্যকর রূপায়ণ ব্যবস্থার অভাবই কিন্তু ভবিষ্যতে এই ধরনের শক্তি উন্নয়নকে ব্যাহত করতে পারে। পরিস্থিতি অনুধাবন করার জন্য নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি মন্ত্রক (মিনিস্ট্রি অফ নিউ অ্যান্ডরিনিউয়েবল এনার্জি) শক্তি মন্ত্রককে (মিনিস্ট্রি অফ পাওয়ার) চিঠি লিখে অনুরোধ করেছিল যে সবক’টি রাজ্য সরকার তাদের পরিকাঠামো পুনর্গঠনের জন্য কেন্দ্রীয় আর্থিক সাহায্য পাওয়ার ক্ষেত্রে ‘রিনিউয়েবল পারচেজ অবলিগেশন’ লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করাটা বাধ্যতামূলক করে। মহারাষ্ট্র বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রক কমিশন নির্দেশ দিয়েছিল বিগত ৪ বছরের ‘রিনিউয়েবল পারচেজ অবলিগেশন’ ২০১৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে পূরণ করতে হবে। অন্যথায়, বড় জরিমানা ধার্য হবে।
এমনকী, লগ্নি এবং রূপায়ণ সমস্যা মিটে গেলেও স্বচ্ছতার অভাবই পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি ক্ষেত্রে এক বড় বাধা হয়ে দেখা দেবে। যার ফলে প্রতিযোগিতা হ্রাস পাবে। বর্তমানের বাজার স্বচ্ছতার অভাবে বাজার বিপর্যয়ও দেখা দিতে পারে। বিজ্ঞান ও পরিবেশের এক সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, কী ভাবে আইন উপেক্ষা করে একটি বৃহৎ অংশ জওহরলাল নেহরু ন্যাশানাল সোলার মিশন-এর অংশীদারিত্ব সংগত পরিমাণের চেয়ে বেশি পরিমাণে লাভ করেছে।
সূত্র : যোজনা, মে ২০১৪
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019