গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমনের ফলে কৃষি, মাছ চাষ, পশুপালন, বনজ সম্পদের বিকাশ দারুণ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সাম্প্রতিক সময়ে বিলুপ্ত মারণরোগগুলি আবার ফিরে আসবে বা তাদের প্রকোপ বাড়বে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের (জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়, বন্যা) ধ্বংসলীলা আরও বৃদ্ধি পাবে। এই পরিস্থিতিতে গ্রিন হাউস গ্যাসের মাত্রা কমাতেই হবে। ডিসেম্বর ২০১৪-তে পেরুর রাজধানী লিমায় ১৯৬টি দেশের প্রতিনিধিরা গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমণ কমানোর লক্ষ্যে প্রতিটি দেশ অভিন্ন নীতি অনুসরণ করে নির্দিষ্ট কার্যক্রম আগামী মার্চ ২০১৫-র মধ্যে চূড়ান্ত করতে সম্মত হয়েছে।
রিনিউয়েবল এনার্জি (পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি) ব্যবহারে উষ্ণায়নের অন্যতম মূল কারণ গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন কমে। ফলে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি নিয়ে মানুষের বিরাট প্রত্যাশা। জলবায়ুর পরিবর্তন রুখতে দেশের প্রতিটি প্রদেশের জন্য স্বল্প খরচে, ধারাবাহিক ও নিরবচ্ছিন্ন ভাবে পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত না করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিই একমাত্র বিকল্প। ভারতের ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী এ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন ধরনের অপ্রচলিত শক্তির উৎস রয়েছে। যেমন তামিলনাড়ুতে হাওয়ার জোর অনেক বেশি। সেখানে বায়ু-বিদ্যুৎ তৈরি করা সম্ভব। উত্তর, পশ্চিম ও পূর্ব ভারতে সূর্যের আলো বেশি। তাই ওই এলাকাগুলিতে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য অনুকূল পরিবেশ রয়েছে। বিশিষ্ট মার্কিন পরিবেশ বিজ্ঞানী ডেভিড ওয়াস্কো বলেছেন, ‘অপ্রচলিত শক্তি ব্যবহার করে ভারতের মতো দেশে সামগ্রিক বিদ্যুতের চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। এখানে আঞ্চলিক ভাবে অপ্রচলিত শক্তির উৎসের পরিকল্পনা করতে হবে।’
পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎস ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলিকে দু’ ভাগে ভাগ করা যায়
গ্রিড সংযুক্ত এমন প্রকল্পগুলি সাধারণত গ্রামে যেখানে প্রথাগত বিদ্যুৎ পৌঁছতে পারেনি সেখানে স্থাপন করা হয়। আর গ্রিড সংযুক্ত পুননর্বীকরণযোগ্য শক্তির প্রকল্পগুলি সাধারণত ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে গ্রিড এলাকায় স্থাপন করা হয়। আজকের পৃথিবীতে ২০০ কোটি লোকের কাছে এখনও বিদ্যুৎ পৌঁছতে পারেনি। এই সব লোকের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিতে গেলে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তিই ভরসা।
সূত্র : পঞ্চায়েতি রাজ, জানুয়ারি ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019