সৌরশক্তি ব্যবহারের কয়েকটি সার্থক দৃষ্টান্ত
- ক) বাড়ির ছাদে সোলার পাওয়ার প্লান্ট বসিয়েছে বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান। তারা (যেমন টালিগঞ্জের নৃপেন্দ্রনাথ হাইস্কুল) উৎপাদিত সৌরবিদ্যুৎ সবটাই গ্রিডে পাঠিয়ে দিচ্ছে। ফলত, তাদের মোট (প্রচলিত) বিদ্যুতের পরিমাণ ও স্ল্যাব কমছে। বিদ্যুতের বিল মেটাতে হচ্ছে অনেক কম হারে, কম ইউনিটের জন্য। বিদ্যুৎ বাবদ ওই প্রতিষ্ঠানের খরচ অনেকটাই কমে গিয়েছে।
- খ) সাগর ব্লকের ধবলাহাট লক্ষ্মণ পরবেশ হাইস্কুল। স্কুলের ছাদে রয়েছে ৫ কিলোওয়াটের সোলার প্লান্ট। এলাকায় প্রচলিত বিদ্যুৎ এসে গেলেও সোলার প্লান্টের (বাটারি যুক্ত) সাহায্যেই জ্বলছে স্কুলের আলো, পাখা, কম্পিউটার ইত্যাদি।
- গ) উত্তর কলকাতার বাগবাজার শ্রমজীবী কলোনি। স্বাধীনতার আগে থেকেই ওখানে ১০০টি পরিবারের বাস। ছিল না বিদ্যুৎ সংযোগ। ওয়েবরেডার সাহায্যে ২০১২ সালে ৫০টি ঘরে পৌঁছে যায় সৌরবিদ্যুৎ। পরবর্তীতে ওই এলাকায় প্রচলিত বিদ্যুৎ পৌঁছে গেলেও মানুষ সৌরবিদ্যুতের ব্যবহার ছাড়েনি। তাদের প্রচলিত বিদ্যুৎ খরচ কম হচ্ছে। বিলও কম পেমেন্ট করতে হচ্ছে।
- ঘ) মিলনমেলা প্রাঙ্গণে হয়ে গেল কলকাতা বইমেলা। অসংখ্য বইপ্রেমী মানুষের ভিড়ে জমে উঠেছিল রবিবারের সন্ধ্যা। হঠাৎই লোডশেডিং। জেনারেটর চালু হতেও লেগে গেল বেশ কয়েক মিনিট। কিন্তু কোনও বিশৃঙ্খলা হল না। কারণ মাঠ জুড়ে তখন জ্বল জ্বল করছে ১৫০ সোলার স্ট্রিট লাইট।
- ঙ) কালচিনি ব্লকের একটি ছোট্ট গ্রাম দক্ষিণ মেন্দাবাড়ি। পাশের বন থেকে প্রায়ই হাতির পাল এসে ঢুকে পড়ে খেতের ফসল খেয়ে যায়। ওই গ্রামের মানুষের এটা ছিল নিত্য সমস্যা। এর পর এক দিন হাতির প্রবেশপথ বরাবর বসানো হল সৌরশক্তি চালিত এলইডি লাইট। সেগুলি জ্বলতে, নিভতে থাকল। দূর থেকে হাতির দল ভাবল অনেক মানুষ আলো নিয়ে পাহারা দিচ্ছে। তারা আর গ্রামে ঢুকল না, বেঁচে গেল খেতের ফসল।
- চ) হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী সামশেরনগর গ্রাম। গ্রামের শিশুরা পড়াশোনা করত কেরোসিনের আলোয়। খরচ বেশি, আলো কম, বিষাক্ত ধোঁয়ায় চোখ জ্বালা করত। স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ও সরকারের সহায়তায় ওই ছেলেমেয়েরা পেল সোলার লন্ঠন। উজ্জ্বল আলোয় উল্লসিত হয়ে উঠল তাদের ঘর। পড়াশোনার কাজে এল বাড়তি উৎসাহ।
সূত্র : পঞ্চায়েতি রাজ, জানুয়ারি ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/26/2020
0 রেটিং / মূল্যাঙ্কন এবং 0 মন্তব্য
তারকাগুলির ওপর ঘোরান এবং তারপর মূল্যাঙ্কন করতে ক্লিক করুন.
© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.