বিদ্যুৎবিহীন এলাকায়, জেটিঘাট, বাজার, রাস্তার মোড়, জল সংগ্রহের জায়গা, নিরাপত্তা চৌকি প্রভৃতি নানা জায়গায় পথ আলোকব্যবস্থায় সৌরশক্তি ব্যবহৃত হয়। এর পাশাপাশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর উৎপাদন কেন্দ্র প্রভৃতি নানা জায়গায় নৈশকালীন আলোর উৎস হিসাবে সোলার আউটডোর লাইটিং ব্যবস্থার ব্যবহার রয়েছে।
দেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বসবাসকারী মানুষ বাড়িতে, স্কুলে, কর্মস্থলে পানীয় জলের সংযোগ থেকে বঞ্চিত। সোলার পিভি পোর্টেবল ওয়াটার পিউরিফায়ার পিভি মডেলের সাহায্যে দু’টি (প্রাইমারি এবং সেকেন্ডারি) ফিল্টার এবং আল্ট্রাভায়োলেট ট্রিটমেন্টের সাহায্যে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ করতে পারে।
এ ছাড়া সোলার পিভি রেফ্রিজারেটর, সোলার পিভি পাম্পিং সিস্টেম, সোলার পিভি সেন্ট্রাল ব্যাটারি চার্জিং স্টেশন এবং সোলার জেনারেটর প্রভৃতির ব্যবহার জনপ্রিয়তা লাভ করেছে।
এই যন্ত্রের সাহায্যে ব্যবহার উপযোগী গরম জল গ্যাস, বিদ্যুৎ বা অন্য কোনও জ্বালানি খরচ ছাড়াই পাওয়া যায়। এর মাধ্যমে গ্রীষ্মকালে ৬০-৭০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড পর্যন্ত তাপমাত্রায় জল গরম করা যেতে পারে। দু’ ধরনের ব্যবস্থা বাজারে প্রচলিত -
এই ধরনের জল গরম করার ব্যবস্থা বহু জায়গায় সাফল্যের সঙ্গে কাজ করেছে। উত্তরপ্রদেশের প্রত্যন্ত গ্রামে, যেখানে বিদ্যুৎ খুব অল্প সময়ের জন্য থাকে, সেখানে এই ব্যবস্থা প্রয়োগ করে শীতকালে উষ্ণ জল পাওয়া গিয়েছে। প্রয়োজনে এই জল কিছু সময়ের জন্য সঞ্চয় করার ব্যবস্থাও রয়েছে।
সূত্র : পঞ্চায়েতি রাজ, জানুয়ারি ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/2/2020