সোলার পিভি পাওয়ার প্লান্ট যদি কেউ ব্যবহার করতে চান, তাঁর/তাঁদের উচিত হবে, যদি প্রচলিত বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা নির্ভরযোগ্য (লোডশডিং বা লো ভোল্টেজ সমস্যা কম) হয়, সে ক্ষেত্রে গ্রিড সংযুক্ত বিদ্যুৎ ব্যবস্থা স্থাপন করা, সেই সঙ্গে জরুরি বিদ্যুৎ সরঞ্জাম চালানোর জন্য মিনিমাম ব্যাটারি ব্যাক আপ রাখা। যাতে গ্রিডে পাওয়ার ফেলিওর হলেও জরুরি সরঞ্জামগুলি ব্যাটারির সাহায্যে চালানো যায়। অন্য দিকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন বা লোডশেডিং-বহুল এলাকার জন্য ব্যাটারি সংযুক্ত সিস্টেম বসানো দরকার। ন্যাশনাল সোলার মিশনের অধীনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রচুর মেগাওয়াট লেভেল সোলার পাওয়ার প্লান্ট তৈরি হয়েছে। গুজরাতে ৫০০ মেগাওয়াট সোলার পিভি প্লান্ট স্থাপিত হয়েছে।
গ্রিড সংযুক্ত সোলার পিভি পাওয়ার প্লান্ট |
ব্যাটারি সংযুক্ত সোলার পিভি পাওয়ার প্লান্ট |
এই সিস্টেমে উৎপাদিত সৌরবিদ্যুৎ গ্রিডে সরবরাহ করা হয়। ব্যবহারকারী সব সময় গ্রিড থেকেই বিদ্যুৎ পাবেন। গ্রিড থেকে ব্যবহারকারীর প্রাপ্ত বিদ্যুৎ ও গ্রিডে সরবরাহকৃত সোলার বিদ্যুতের ব্যবধান ব্যবহারকারীকে টাকা দিয়ে মেটাতে হবে। |
এই সিস্টেমে উৎপাদিত সৌরবিদ্যুৎ ব্যবহারকারী তাঁর/তাঁদের বাড়ি/প্রতিষ্ঠানে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম চালানোর কাজে ব্যবহার করেন। |
লোডশেডিং বা গ্রিড ফেলিওর হলে, এই সিস্টেমে বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে না। |
লোডশেডিং বা খারাপ আবহাওয়াতেও এই সিস্টেম কার্যকর হবে। |
এই ধরনের বিদ্যুৎ ব্যবস্থা প্রতিস্থাপনের জন্য মোট খরচের পরিমাণ কিলোওয়াট পিছু ৬০ হাজার টাকা থেকে এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত। |
প্রতিস্থাপনের খরচ কিলোওয়াট পিছু ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত। ব্যাটারির জন্য (গ্রিড সংযুক্ত সিস্টেমে ব্যাটারি নেই) এ ধরনের সিস্টেমের দাম তুলনামূলক ভাবে বেশি। |
বিদ্যুৎবিহীন বা বিদ্যুতায়িত এলাকায় পানীয় জল এবং সেচের কাজে পিভি পাম্পের ব্যবহার রয়েছে। সেচের কাজে ডিসি সাবমারসিবল, ডিসি সারফেস মাউন্টেড সেন্ট্রিফিউগাল, ডিসি ক্লটিং এবং এসি (ডিসিকে পাল্টে নিয়ে ডিসিকে ইনভার্টারের সাহায্যে এসিতে রূপান্তরিত করা) সাবমারসিবল পাম্প সেট সৌরশক্তির সাহায্যে চালানো যায়। ৭/১০ মিটার হেডে দিনে ১৫ হাজার লিটার জলের সাহায্যে ০.৫—০.৬ হেক্টর জমিতে কৃষিকাজের জন্য ব্যবহৃত পাম্পসেট চালানোর জন্য ২০০ ওয়াটপিক ক্ষমতার মডিউল ব্যবহার করা হয়। পাম্পের সেচ ক্ষমতা এবং দাম সংশ্লিষ্ট এলাকার জলবিভাজিকা বৈচিত্র, জলতলের উচ্চতা, মাটির অবস্থা ইত্যাদির উপর নির্ভর করে।
সূত্র : পঞ্চায়েতি রাজ, জানুয়ারি ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/28/2020