বিকল্প শক্তি ব্যবহার নিয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু বহু দিন আগে থেকে। মহাত্মা গান্ধীর পথ অনুসরণ করে এ দেশে প্রথম গোবর গ্যাস প্রকল্প চালু হয়েছিল স্বাধীনতার সময় থেকেই। তখন অবশ্য পুনর্বীকরণযোগ্য শক্তি — এই নামটি চালু হয়নি। সবাই গোবর গ্যাস প্রকল্পই বলতেন। খাদি প্রকল্পের অন্তর্গত হিসাবে গোবর গ্যাস উৎপাদন চালু হয়েছিল। তা দিয়ে অল্প কিছু আলো জ্বালানো হত। কিন্তু সত্যি কথা বলতে কী বিকল্প শক্তির ব্যবহার তারও আগে থেকে চলে আসছে। জ্বালানি কাঠের ব্যবহারও এক রকম বিকল্প শক্তি ব্যবহারের নিদর্শন। বিকল্প শক্তি দু’রকমের — একটা হল কম ক্ষমতা সম্পন্ন শক্তি, যেমন উনুনে কাঠ পুড়িয়ে রান্না করা, টানা পাখায় পেশি শক্তির ব্যবহার ইত্যাদি। দ্বিতীয় হল শক্তির উৎস কাজে লাগিয়ে বিকল্প কারিগরির প্রবর্তন। গত শতাব্দীর পাঁচের দশক থেকে সাতের দশক পর্যন্ত খাদি বোর্ডের অন্তর্গত গোবর গ্যাস প্রকল্পই ছিল বিকল্প শক্তি ব্যবহারের একমাত্র নিদর্শন। সাতের দশকের শেষ নাগাদ সৌরশক্তি নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা শুরু হয়। সেই সময় গোটা বিশ্বেই তেলের সঙ্কট দেখা দিয়েছিল। সেই সময় থেকেই সৌরকোষের ব্যবহার, সোলার কুকার দিয়ে রান্না করার প্রবর্তন হয়। সৌরকোষের আবিষ্কার ১৮৩৯ সালে ফ্রান্সে। এডমন্ড বেকার নামে এক বিজ্ঞানী প্রথম সৌরকোষ থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করেন। এর পর ১১৫ বছর তার তেমন কোনও ব্যবহার হয়নি। গত শতকের পাঁচের দশকে ফের সৌরকোষের ব্যবহার শুরু হয়। সেই সময় বেল কোম্পানি স্যাটেলাইটের মধ্যে সৌরকোষ ব্যবহার করেছিল। ১৯৭৮-৭৯ সাল জুড়ে এ দেশে সৌরকোষ নিয়ে চুলচেরা গবেষণা হয়। ১৯৮১ সালে এ দেশে প্রথম কৃষিতে সৌর কোষ ব্যবহার করা হয়েছিল। আমি সেই সময় ত্রিপুরায় ছিলাম। ওই বছর কেন্দ্রীয় সরকারের সাহায্যে ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গের কল্যাণী, মধ্য উত্তরপ্রদেশ ও গুজরাতে সীমিত আকারে সৌরশক্তি ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই সময় প্রথম মাইক্রো সোলার পাম্প দিয়ে সেচের কাজ করা হয়েছিল। ওই বছরই আমি ত্রিপুরায় বেশ কয়েকটি সোলার ল্যাম্প লাগাই। হেরমা নামের একটি গ্রামকে সম্পূর্ণ সৌরশক্তিতে আলোকিত করেছিলাম। ওই সময় থেকেই ধীরে ধীরে সোলার ল্যাম্প লাগানো, বায়োগ্যাসকে জনপ্রিয় করার উদ্যোগ শুরু হয়।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 2/14/2020
রান্নার বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিদ্য...
শক্তি বাঁচাতে যথাযথ যন্ত্র বাছাই কী ভাবে করবেন, তা...
আমরা বাড়িতে নানা ধরনের বৈদ্যুতিন যন্ত্র ব্যবহার কর...