২০০৪ সালে ব্রিটিশ সরকারের গ্রিন অস্কার বা অ্যাশডেন অ্যাওয়ার্ড আমাকে দেওয়া হয়। সাগরদ্বীপে সাক্ষরতার হার অত্যন্ত বেশি, অথচ সেখানে কোনও বিদ্যুতের ব্যবস্থা ছিল না। ১৯৯০ সালে আমি প্রথম সাগরদ্বীপে যাই। ওখানকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলি। পরে কেন্দ্রীয় সরকারকে গোটা বিষয়টা জানাই। কেন্দ্রীয় সরকার ওই দ্বীপে সোলার এনার্জি প্রকল্পে খুবই উৎসাহ দেখায়। ওখানকার মানুষজনও সহযোগিতা করে। দেখা গেল ৫০ হাজার পরিবারের মধ্যে ১১ হাজার পরিবার চার বছরের মধ্যে সৌরবিদ্যুৎ কেনা শুরু করেছে। ওইখান থেকেই প্রথম মিনি গ্রিড চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে সৌরবিদ্যুৎ গ্রিডের মাধ্যমে সংয়োগ করার কথা কেউ ভাবেনি। প্রতিটি বাড়িতে আলাদা করে সংযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু সাগরদ্বীপে প্রথম ৫০ কিলোওয়াটের সোলার মিনি গ্রিড চালু হয়। কমলপুরে ১৯৯৪ সালে তৎকালীন রাজ্যপাল রঘুনাথ রেড্ডি এর উদ্বোধন করেন। এই প্রকল্প গোটা বিশ্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। সেই সময় মন্ত্রী ছিলেন আমার মাস্টারমশাই অধ্যাপক শঙ্কর সেন। তিনি আমাকে অত্যন্ত উৎসাহিত করেছিলেন। আমরা বিদ্যুতের খুঁটির মাধ্যমে সমস্ত দ্বীপে আলো দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। ওরা সাত ঘণ্টা করে দৈনিক বিদ্যুৎ পেত। পরবর্তী কালে ওয়েবরেডা এ ধরনের আরও ১৮টি বিদ্যুৎকেন্দ্র করে। কেন্দ্রীয় সরকার এটিকে ‘ইউনিক মডেলের’ স্বীকৃতি দেয়। এই মডেলের অনুসরণে গোটা দেশে পাঁচ হাজার বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হয়। আমাকে তখন বহু রাজ্যে ঘুরে কাজ দেখতে হত।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/5/2020