অসমীয়া   বাংলা   बोड़ो   डोगरी   ગુજરાતી   ಕನ್ನಡ   كأشُر   कोंकणी   संथाली   মনিপুরি   नेपाली   ଓରିୟା   ਪੰਜਾਬੀ   संस्कृत   தமிழ்  తెలుగు   ردو

পরমাণু ও পুনর্নবীকরণযোগ্য‌ শক্তিই ভবিষ্য‌তের প্রধান উৎস

পরমাণু ও পুনর্নবীকরণযোগ্য‌ শক্তিই ভবিষ্য‌তের প্রধান উৎস

পরমাণু কেন্দ্র এবং কঠিন জ্বালানি কেন্দ্রগুলি নিরবচ্ছিন্ন বিদ্য‌ুৎ উৎপাদন করতে পারে। তাই এগুলিকেই সাধারণত বেস লোড সেট হিসাবে নেওয়া হয়। ব্য‌বহারকারী চাইলে মরশুম ও দিনরাত্রি ভেদে উৎপাদনের সীমাও বেঁধে দিতে পারেন। বায়ু বা সূর্যের আলোর মতো যে সব সম্পদ সঞ্চয় করে রাখা যায় না অথবা জলের মতো যে সব সম্পদ আংশিক ভাবে সঞ্চয় করা যায়, তাদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি বিশেষভাবে উপযোগী। এক বা একাধিক দূষণকারী পদার্থের নির্গমণের ঊর্ধ্বসীমা বেঁধে দেওয়ার ক্ষমতাও ব্য‌বহারকারীর আছে। এই ঊর্ধ্বসীমা বিভিন্ন সময়কালে বিভিন্ন রকম স্থির করা যায়। নির্গমণগুলিকে ভিন্ন নামে চিহ্নিত করে ব্য‌বহারকারী কোনও নির্দিষ্ট ক্ষেত্রের নির্গমণ কমিয়ে আনতে পারেন। আবার আন্তজার্তিক মাপকাঠি অনুযায়ী নির্গমণের ঊর্ধ্বসীমা ধার্য করার উপায়ও তাঁর আছে।

বর্তমান প্রবণতা অনুযায়ী চললে, চাহিদা পূরণের জন্য‌ ভারতকে ২০৪৫ সালের মধ্য‌ে ৭৫০ গিগাওয়াট উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন বিদ্য‌ুৎ কেন্দ্র গড়ে তুলতে হবে। অতিরিক্ত এই উৎপাদনের ৩৭ শতাংশ কয়লা থেকে, ২০ শতাংশ জল থেকে এবং ১৮ শতাংশ পরমাণু ও পুনর্নবীকরণযোগ্য‌ শক্তিক্ষেত্র (মূলত বায়ু ও সূর্য) থেকে আসবে। অতিরিক্ত এই উৎপাদনের ক্ষেত্রে শক্তি সংরক্ষণের বিধিগুলির কার্যকর প্রয়োগ দেশের পক্ষে অত্য‌াবশ্য‌ক। পরমাণু ও পুনর্নবীকরণযোগ্য‌ শক্তিই ভবিষ্য‌তে জ্বালানি উৎপাদনের প্রধান উৎস হয়ে উঠবে।

ভারতে পরমাণু বিদ্য‌ুতের ক্ষেত্রে প্রেসারাইজড হেভি ওয়াটার রিঅ্য‌াক্টর -পিএইচডাবলুআর বা উচ্চচাপযুক্ত ভারী জল চুল্লি প্রযুক্তির আধিপত্য‌। এর নকশা, নির্মাণ এবং চালনার ক্ষেত্রে ভারতের যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। বর্তমানে কিন্তু অ্য‌াডভান্সড হেভি ওয়াটার রিঅ্য‌াকটর—এ এএইচডাবলুআর বা উন্নত ভারী জল চুল্লি প্রযুক্তিকে অগ্রগণ্য‌ ধরা হয়। এএইচডাবলুআর হল একটি উলম্ব চাপযুক্ত টিউবের মতো ফুটন্ত হালকা জল এবং ভারী জলের সামঞ্জস্য‌ে থাকা চুল্লি যেখানে ২৩৩ ইউ–টিএইচ মক্স এবং পিইউ-টিএইচ মক্স জ্বালানি ব্য‌বহার করা হয়। এই মডেলে মিক্সড অক্সাইড চুল্লিগুলি অন্তর্ভুক্ত। এর ফলে দুর্মূল্য‌ হওয়া এবং বিস্তারের আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও ভবিষ্য‌তে প্লুটোনিয়াম প্রক্রিয়াকরণ সম্ভব হবে।

ভারতীয় মারকাল-এ পিএইচডাবলুআর এবং এএইচডাবলুআর — দু’টি প্রযুক্তিই অন্তর্ভুক্ত। পিএইচডাবলুআরকে প্রথাগত পরমাণু এবং এএইচডাবলুআরকে উন্নত পরমাণু হিসাবে অভিহিত করা হয়। দীর্ঘ প্রতীক্ষাপর্ব এবং কিছু কারিগরি সমস্য‌ার কারণে ২০২০ সালের আগে উন্নত প্রযুক্তি আমাদের পক্ষে ব্য‌বহার করা সম্ভব হবে না।

সূত্র : যোজনা, মে ২০১৪

সর্বশেষ সংশোধন করা : 4/24/2020



© C–DAC.All content appearing on the vikaspedia portal is through collaborative effort of vikaspedia and its partners.We encourage you to use and share the content in a respectful and fair manner. Please leave all source links intact and adhere to applicable copyright and intellectual property guidelines and laws.
English to Hindi Transliterate