সৌরশক্তির জন্য বেশি জমি আছে অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং মহারাষ্ট্রে। তবে সূর্যের আলো পড়া মাঝামাঝে থমকে যায়। তাতে মার খায় শক্তি উৎপাদন। এই ঝকমারি এড়াতে প্রযুক্তির আরও উন্নতি দরকার।
সোলার ফোটোভোলটাইক প্রযুক্তির অগ্রগতি হয়েছে চটজলদি। গত দশকে পিভির দাম কমেছে অনেকখানি। প্রথাগত শক্তির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় এটি আরও এগিয়েছে। থিন ফিল্ম প্রযুক্তির আবির্ভাব হওয়ায় এসপিভি এখন আরও সস্তা। বাজারের ২০ শতাংশ এখন থিন ফিল্ম প্রযুক্তির দখলে। বাকি ৮০ শতাংশ ক্রিস্টালাইন সিলিকন প্রযুক্তির কবজায়। কিলোওয়াট ঘণ্টা পিছু গ্রিড সংযুক্ত এসপিভির খরচ পড়ে ৭-৯ টাকা। আর হাওয়া শক্তি উৎপাদনে ব্যয় ৫-৬ টাকা। নবীকরণযোগ্য উৎস থেকে উৎপাদিত শক্তির দাম কয়লা পুড়িয়ে উৎপন্ন শক্তির থেকে এখনও বেশি। একটানা বিদ্যুৎ পাওয়ার জন্য কিলোওয়াট ঘণ্টা পিছু ১৫-২০ টাকা ডিজেল জেনারেটরের জন্য ঢালতেও অনেক গ্রাহক পিছপা নয়। গুরগাঁওতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু গ্রাহক এর জন্য টাকা খরচ করেছে। নির্দিষ্ট কিছু চাহিদার ক্ষেত্রে অনেকের কাছে এটা পছন্দসই হতে পারে। প্রযুক্তির অগ্রগতির সঙ্গে তাল রেখে দাম ক্রমশ কমছে নবীকরণযোগ্য শক্তির। এক সময় প্রথাগত ও নবীকরণযোগ্য শক্তির দাম সমান হয়ে যেতে পারে। গ্রাহকের পছন্দের তালিকায় তখন পয়লা স্থান পেতে পারে এই নবীকরণযোগ্য শক্তি। সে জন্য অবশ্য নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ সঞ্চয় করে রাখার প্রযুক্তি উদ্ভাবনের দিকটি খেয়াল রাখা দরকার। ঘরবাড়ির ছাতে সূর্যালোক কাজে লাগানোর সম্ভাবনা সদ্ব্যবহারের কথা ভাবা যেতে পারে। এক হিসেব মতে, পিভি সিস্টেমের জন্য দিল্লিতে ৪.৪২ শতাংশ ছাদ মেলা সম্ভব। এক দিল্লিতেই এর ফলে ২.৫ গিগাওয়াট সৌরশক্তি উৎপাদন করা যায়।
কয়লা খনির মিথেনের দিকেও ভারতের নজর দেওয়া উচিত। ভারতের শক্তি নিরাপত্তার ভরসা জোগাতে পারে এই সিবিএম বা মিথেন। মাটির অল্প নীচে কয়লার সঙ্গে মিশে এই মিথেনের উৎপত্তি। মিথেন তোলার জন্য হরাইজেন্টাল ড্রিলিংয়ের দরকার পড়ে না। শেল গ্যাসের তুলনায় ফ্র্যাকচারিং ঢের কম। ২০০১ থেকে ৩৩টি ব্লক থেকে মিথেন উৎপাদনের ছাড়পত্র মিলেছে। বছরে উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৩০০ কোটি ঘনমিটারে।
সূত্র : যোজনা, মে ২০১৪
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020