আকারে প্রকারে ভারতের সামনে সমস্যা বিস্তর। দেশের অভ্যন্তরে জ্বালানি মেলে কম। আমদানি করা জ্বালানি খালাস ও গ্রাহকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার পরিকাঠামো অপ্রতুল। স্থায়ী উন্নয়ন ও শক্তি নিরাপত্তার জন্য দেশ বড়সড় পদক্ষেপ করেছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে লগ্নি, পরিকাঠামো, উপযুক্ত দক্ষতা বা কুশলতা অর্জন এবং জমি, জল, ইত্যাদির ব্যবস্থা করা বেশ কঠিন কাজ।
জলবায়ু পরিবর্তনকে বাগ মানানোর তেমন কোনও প্রযুক্তিগত সাফল্য এখনও অধরা। গবেষণা ও বিকাশের গাদাগুচ্ছের বিনিয়োগ ছাড়া তা অসম্ভব। পরিবর্ত/শূন্য কার্বন প্রযুক্তির জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ সহজলভ্য নয়। এ ক্ষেত্রে গোটা বিশ্বে ইতরবিশেষ নেই। অচলাবস্থা কাটার আশু কোনও লক্ষ্মণ চোখে পড়ে কই?
উপযুক্ত পরিবর্ত প্রযুক্তি বিকাশলাভ না করা অবধি ভারতকে দেখতে হবে জ্বালানির অভাবে চালু বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিতে উৎপাদন যেন থমকে না পড়ে। সেকেলে প্রযুক্তি বা পরিকাঠামোর ঘাটতি ও চাহিদার অভাবে অনেক সময় কারখানা গোটাতে হতে পারে। আগাম চিন্তাভাবনা মূলক পরিকল্পনার মাধ্যমে দেখতে হবে এ হেন প্রকল্পে লগ্নি করে টাকাকড়ি যাতে জলে না যায়। ভবিষ্যতে শক্তির চাহিদার সঠিক হিসাব, শক্তির কার্যকারিতা এবং শক্তির সাশ্রয় তাই পরিকল্পনা প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ দিক।
আরও বেশ কিছু দিন তেল-কয়লা আমাদের শক্তির চাহিদা মেটাতে বড় ভরসা। তেল ও কয়লা খনির খোঁজের জন্য তাই জোর চেষ্টা চালানো জরুরি। এই অনুসন্ধানে উদ্যোগীদের মদত জোগাতে জ্বালানির যুক্তিসঙ্গত দাম ঠিক করতে হবে।
রফতানিকারী দেশগুলি জ্বালানিকে তাদের জাতীয় সম্পদ হিসেবে গণ্য করে। শক্তি নিরাপত্তার তত্ত্বতালাশে জাতীয়তাবাদের এ ধ্যানধারণাকে ভারতের খেয়াল রাখা উচিত। জ্বালানি পরিবহনে নিরাপত্তার দিকটিও বিবেচনার দাবি রাখে। ভারতের শক্তি নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিদেশ নীতি তার পশ্চিম এশিয়া নীতির পাশাপাশি ভারত মহাসাগর ও দক্ষিণ চিন সাগর স্ট্র্যাটেজির সঙ্গে অবশ্যই সমন্বয় রেখে চলবে। এ কথা খাটে জলবায়ু পরিবর্তন নীতির ক্ষেত্রেও। আমদানি করা জ্বালানির জোগান সুনিশ্চিত ও একেবারে হালের জ্বালানি প্রযুক্তি হাতে পাওয়ার জন্য ভারতকে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে হবে।
স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি শক্তি নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য বেশ কিছু ক্ষেত্রে মনোযোগ দিয়ে পরিকল্পনা ও তার রূপায়ণ করা দরকার। এর মধ্যে পড়ে ---
সূত্র : যোজনা, মে ২০১৪
সর্বশেষ সংশোধন করা : 1/28/2020