এ পর্যন্ত আমরা যা আলোচনা করেছি তার প্রেক্ষিতে সুসংহত শক্তি নীতি সংক্রান্ত এই বিশেষজ্ঞ কমিটির এক প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের সর্বত্র, সমস্ত ধরনের প্রয়োজনেই, তা ঘর গৃহস্থালির কাজের জন্যই হোক বা মানুষের জীবন বাঁচানোর কাজে, সুলভে এবং বিশ্বস্ততার সঙ্গে পরিচ্ছন্ন, নিরাপদ এবং ব্যবহারের দিক থেকে সুবিধাজনক জ্বালানি জোগান নিশ্চিত করে তুলতে হবে। পুরো ব্যবস্থাটাই গড়ে তুলতে হবে দক্ষ প্রযুক্তি, অর্থনৈতিক দিক থেকে অনুকূল এবং পরিবেশবান্ধব প্রক্রিয়ার মাধ্যমে।
ভারত সরকারের জ্বালানি তথা শক্তি নীতি সম্পর্কিত কর্মসূচি রূপায়ণ করে থাকে বেশ কয়েকটি মন্ত্রক। যেমন পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রণালয়, কয়লা মন্ত্রক, বিদ্যুৎ মন্ত্রক, নতুন ও পুননর্বীকরণ শক্তি মন্ত্রণালয়, পরমাণু শক্তি দফতর ইত্যাদি। তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধান এবং উৎপাদন এবং বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাসমন্ত্রক। কয়লামন্ত্রকের কাজ হল কোকিং ও ননকোকিং কয়লা এবং লিগনাইট সংক্রান্ত নীতি প্রনয়ন ও রূপায়ণ।
তাপবিদ্যুৎ ও জলবিদ্যুৎ প্রকল্প এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ ও বণ্টনের দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে ২০০১ সালে শক্তি সংরক্ষণ আইন এবং ২০০৩-এর বিদ্যুৎ আইনের যথাযথ প্রয়োগের বিষয়টিও দেখে এই মন্ত্রক। প্রচলিত এবং চিরাচরিত জ্বালানি উৎসের ওপর নির্ভরতা কমাতে নতুন ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য জ্বালানি শক্তির অনুসন্ধান ও উৎপাদনের কাজের সঙ্গে যুক্ত কেন্দ্রীয় নতুন ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তি মন্ত্রক। প্রধানমন্ত্রীর প্রত্যক্ষ নিয়ন্ত্রণাধীন পরমাণু শক্তি দফতরের কাজ ও দায়িত্ব হল ভবিষ্যতের জ্বালানির চাহিদা পূরণে পরমাণু বিদ্যুতের সম্ভাবনা খুঁজে বের করে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। শক্তি সংক্রান্ত নীতি প্রণয়নে এই সমস্ত মন্ত্রক ও যোজনা কমিশনের যথেষ্ট অবদান রয়েছে। ভারতের শক্তি সংক্রান্ত নীতি ও কর্মসূচির সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত এই মন্ত্রকগুলি ছাড়াও অন্য যে দফতরটি এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেটি হল কেন্দ্রীয় পরিবেশ মন্ত্রণালয়।
সূত্র : যোজনা, মে ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 5/11/2020