১৯৯১ সালে ভারতীয় অর্থনীতি আর্থিক লেনদেনজনিত এক বিশেষ সংকটের মুখোমুখি হয়ে পড়ে। ওই সময়ে দেশের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয় এতটাই কমে যায় যে, দু’ সপ্তাহের আমদানির বোঝা মেটানোও এক প্রকার অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। এর মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার কিছু পদ্ধতিগত কাজ হাতে নেয় এবং দেশের অর্থনীতিতে বেসরকারি ক্ষেত্রের অংশগ্রহণের ওপরও বিশেষ জোর দেয়। পরবর্তীকালে দেশে বিদেশি মূলধনের বিনিয়োগের ক্ষেত্র প্রসারিত করে দেওয়া হয় এবং দেশের হাইড্রোকার্বন সম্পদ বিকাশের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হয়। ১৯৯১ সালে চতুর্থ দফার তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধানের কথা ঘোষণা করে মোট ৭২টি ব্লক চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে ছিল উপকূলবর্তী অঞ্চলের ৩৩টি এবং অন্যান্য অঞ্চলের ৩৯টি ব্লক। সারা বছর ধরেই এই কাজ চালিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয় এবং ছ’ মাস অন্তর ব্লক বণ্টনের ওপর জোর দেওয়া হয়। ১৯৭৯ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত মোট চার দফার অনুসন্ধানের পর ১৯৯৩ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত আরও পাঁচ দফা অনুসন্ধান চালিয়ে যাওয়ার কথাও ঘোষণা করা হয়। এর পর ১৯৯৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকার নবম দফায় মোট ২৮টি ব্লক বণ্টন করে এবং এই সমস্ত কাজে যে সংস্থা বিশেষ সাফল্য ও কৃতিত্বের নজির রাখে তাদের তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস কমিশন (ওএনজিসি) এবং অয়েল ইন্ডিয়া লিমিটেডের সঙ্গে যৌথ সহযোগিতার মাধ্যমে এই কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়।
দেশে তেল ও গ্যাস ভাণ্ডার গড়ে তুলতে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলির অংশগ্রহণের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকার ১৯৯৭-৯৮ সালে একটি নতুন অনুসন্ধান লাইসেন্স নীতি উদ্ভাবন করে। এর আওতায় আজ পর্যন্ত ব্লক বণ্টন করা হয়েছে ন’ দফায়। প্রথম দফায় ৪৮টির মধ্যে ২৪টি, দ্বিতীয় দফায় ২৫টির মধ্যে ২৩টি, তৃতীয় দফায় ২৭টির মধ্যে ২৩টি, চতুর্থ দফায় ২৪টির মধ্যে ২০টি, পঞ্চম দফায় ২০টির মধ্যে ২০টিতেই, ষষ্ঠ দফায় ৫৫টির মধ্যে ৫২টিতে, সপ্তম দফায় ৫২টির মধ্যে ৪১টি, অষ্টম দফায় ৭০টির মধ্যে ৩৯টি এবং নবম দফায় ৩৪টির মধ্যে ১৩টিতে সরকারি বেসরকারি অংশগ্রহণ সম্পর্কিত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
সূত্র : যোজনা, মে ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019