পরমাণু বিদ্যুৎ ছাড়াই জার্মানি ২০১৭ সালের মধ্যে তার বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে। নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড, ডেনমার্কে আইন করে পরমাণু ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অস্ট্রিয়া আরও একটু এগিয়ে ভোটের মাধ্যমে মতামত জেনে সংবিধানেই পরমাণু ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছে। তাই এটা ক্রমশই স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে আমাদের পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎস সন্ধানেই জোর দিতে হবে।
পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি হল সেই জ্বালানিভিত্তিক শক্তি যা অনির্দিষ্টকাল ধরে নিজে নিজেই পুনর্ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠতে পারে। বেশির ভাগ সময়ে যে পাঁচটি পুনর্ব্যবহারযোগ্য শক্তির উৎস ব্যবহার করা হয়ে থাকে, সেগুলি হল, জৈব, বাতাস, সৌর, জল এবং ভূতাপ। ‘রিনিউয়েবল ২০১৩ গ্লোবাল স্ট্যাটাস রিপোর্ট অনুযায়ী ২০১১ ও ২০১২-য় বিশ্বজুড়ে পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির চাহিদা বেড়েছে। সর্বশেষ প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২০১১-য় মোট শক্তি ব্যবহারের ১৯ শতাংশ পাওয়া গিয়েছে বিকল্প উৎস থেকে। তার মধ্যে আনুমানিক ৯.৩ শতাংশ পাওয়া গিয়েছে জৈব সূত্রে যা বিকাশশীল দেশগুলির গ্রামাঞ্চলে বহু কাল ধরেই রান্না বা উত্তাপের কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। বাতাস, সৌর, ভূতাপ ও জৈব জ্বালানির সূত্রে। এ ছাড়া ৪.১ শতাংশ এবং ৩.৭ শতাংশ যথাক্রমে পুনর্নবীকরণযোগ্য তাপবিদ্যুৎ ও জলবিদ্যুৎ থেকে। ১.৯ শতাংশ অংশভাগ সৌর ও ভূতাপ সহ অন্যান্য উৎস থেকে।
বেশির ভাগ পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎসের প্রযুক্তি উৎপাদন ও আন্তর্জাতিক বাজারে চাহিদার বৃদ্ধি লক্ষ্য করা যায় ২০১২ জুড়ে। প্রযুক্তির আধুনিকীকরণ ও উৎপাদন খরচ কমায় দেখা গেল সৌর ও বায়ুচালিত বিদ্যুতের ক্রমহ্রাসমান দর। বায়ুচালিত বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রযুক্তি ভালো কাজ করে যে স্থানে জোরালো বাতাস বয় সেই জায়গায়। সৌরবিদ্যুতের সম্ভাবনাও বিশাল। যদিও জার্মানি খুব একটা সূর্যলোকিত জায়গা বলে পরিচিত নয়। তা হলেও সেখানে বর্তমান সৌর প্যানেলের বাজার সব চেয়ে বড়। জলবিদ্যুৎ উৎপাদন হয় বড় বড় বাঁধ নির্মাণের মাধ্যমে।
সূত্র : যোজনা, মে ২০১৪
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/13/2019