ভারতের নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ মন্ত্রকও প্রকাশ করেছে জেএনএনএসএম দ্বিতীয় পর্যায়ের খসড়া নীতি। ভারত সরকারের লক্ষ্য ১০ গিগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন। এই ১০ গিগাওয়াট লক্ষ্যের মধ্যে ৪ গিগাওয়াট পড়বে কেন্দ্রের কর্মসূচির মধ্যে আর বাকি ৬ গিগাওয়াট পড়বে নানা রাজ্যভিত্তিক কর্মসূচির অধীন।
২০০৯-এর জুলাই মাসে ভারত ২০২০-র মধ্যে ১৯০০ কোটি ডলার ব্যয়ে ২০ গিগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিকল্পনা নেয়। এই পরিকল্পনা সব সরকারি ভবন, হাসপাতাল ও হোটেলে সৌরশক্তিচালিত যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য ব্যবস্থার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। ২০০৯-এর ১৮ নভেম্বর জানা গেল ভারত জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতীয় কর্মসূচিতে জাতীয় সৌর মিশন শুরু করতে প্রস্তুত। এর লক্ষ্যে ২০১৩-র মধ্যে ১০০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন করা। ২০১১-র আগস্ট থেকে ২০১২-র জুলাই পর্যন্ত ভারতে গ্রিড সংযুক্ত ফোটোভোলটাইক থেকে প্রাপ্ত বিদ্যুতের পরিমাণ ২.৫ মেগাওয়াট থেকে ১০০০ মেগাওয়াটে নিয়ে যেতে পেরেছে।
ভারত সরকার এই সম্ভাবনার স্বীকৃতি দিয়েছে এবং নতুন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদ্যুৎ মন্ত্রক ২০১০-এ শুরু করেছে দূরদৃষ্টি সম্পন্ন কর্মসূচি যার নাম জওহরলাল নেহরু ন্যাশানাল সোলার মিশন বা জেএনএনএসএম। এর লক্ষ্য ২০১৩-র মধ্যে ১০০০ মেগাওয়াট এবং ২০২০-র মধ্যে গ্রিড সংযুক্ত ২২০০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন। এই কর্মসূচি সীমিত ভাবে সাফল্য পেয়েছে। প্রথম পর্যায়ে পিভি সেল উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। এবং দ্বিতীয় পর্যায় ভায়াবালিটি গ্যাপ ফান্ডিং-এর মাধ্যমে ৭৫০ মেগাওয়াট পর্যন্ত সাফল্য পাওয়া গেছে। এই মিশনের লক্ষ্য গ্রিডের সমতা রক্ষা অর্থাৎ ২০২০-র মধ্যে একই খরচে ও একই গুণমানের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা যা আজ গ্রিডের মাধ্যমে করা হয়। এই লক্ষ্য পূরণ হলে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে ভারত বিশ্বের সেরা দশ হয়ে উঠবে।
সূত্র : যোজনা, মে ২০১৪
সর্বশেষ সংশোধন করা : 11/14/2019