অনেক শিল্পোন্নত দেশ বিকল্প হিসাবে তাদের গ্রিডে যুক্ত করেছে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক সৌরবিদ্যুৎ ব্যবস্থা। ২০১৩ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বিশ্বের সব চেয়ে বড় একক ভাবে পিভি বিদ্যুৎকেন্দ্র হল অ্যাগুয়া ক্যালিয়েন্ট সোলার প্রজেক্ট (আরিজোনা, ২৫০ মেগাওয়াটের বেশি — বাড়ানো যাবে ৩৯৭ মেগাওয়াট পর্যন্ত), ক্যালিফোর্নিয়া ভ্যালি সোলার রাঞ্চ ২৫০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর পিভি বিদ্যুৎকেন্দ্র, ক্যালিফোর্নিয়ার উত্তর-পূর্বে ক্যারিজো সমতলে সান পাওয়ার দ্বারা, গোলমাড সোলার পার্ক (চিন ২০০ মেগাওয়াট), ওয়েলসপ্যান এনার্জি নিমাচ প্রজেক্ট (ভারত ১৫০ মেগাওয়াট), মেসকুইট সোলার প্রজেক্ট (অ্যারিজোনা ১৫০ মেগাওয়াট), নিউ হার্ডেনবার্গ সোলার পার্ক (জার্মানি ১৪৫ মেগাওয়াট), টেম্পলিন সোলার পার্ক (জার্মানি ১২৮ মেগাওয়াট), টুল-রোজিয়ার্স সোলার পার্ক (ফ্রান্স ১১৫ মেগাওয়াট) এবং পেরোভা সোলার পার্ক (ইউক্রেন ১০০ মেগাওয়াট)। চিনের মূল ভূখণ্ডে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন অন্যতম বৃহৎ শিল্প। ২০০৭ সালে বিশ্বের ৩৮০০ মেগাওয়াট সৌর প্যানেলের মধ্যে প্রায় অর্ধেক অর্থাৎ ১৭০০ মেগাওয়াট সৌর প্যানেল উৎপাদন করে চিন, যদিও এর ৯৯ শতাংশই রফতানি করা হয়। চিন বর্তমানে ২০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। সম্প্রতি তারা ঘোষণা করেছে যে, ২০১৪ সালের শেষ দিকে অতিরিক্ত ১৪ গিগাওয়াট উৎপাদনের লক্ষ্য স্থির করা হয়েছে।
বছরে প্রায় ৩০০টি সূর্যকরোজ্জ্বল দিন থাকায় খাতায় কলমে ভারতের শুধুমাত্র ভূখণ্ডেই সৌরশক্তি পাওয়া যায় বছরে প্রায় ৫০০০ টেরাকিলোওয়াট। এই কারণেই ব্যয়সাপেক্ষ বৃহদাকারের গ্রিড-স্তরের পরিকাঠামো ছাড়াই ভারতের যে কোনও জায়গায় সৌরশক্তি থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া সম্ভব। সৌরবিদ্যুতের ক্ষেত্রে কয়েকটি বড়সড় প্রকল্পের প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। থর মরুভূমির ৩৫ হাজার বর্গকিলোমিটার (৮৬ লক্ষ একর) এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পের জন্য যা ৭০০ গিগাওয়াট থেকে ২১০০ গিগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের পক্ষে যথেষ্ট।
সূত্র : যোজনা, মে ২০১৪
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/7/2020