সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে গুজরাত এগিয়ে তবে অন্যরাও উৎসাহ দেখিয়ে এগিয়ে আসছে। দেশে ৯০০ মেগাওয়াট পিভি-র দুই-তৃতীয়াংশ উৎপাদন করে গুজরাত। বহুমুখী প্রকল্পের দিক থেকে দেখতে গেলে গুজরাতের চরঙ্ক সোলার পার্ক ভারতের সব চেয়ে বড় প্রকল্প। এই সোলার পার্কে বিভিন্ন সংস্থার ২২০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প আছে। অতি সম্প্রতি ২০১৪-র ফ্রেব্রুয়ারিতে মধ্যপ্রদেশের নীমাচের ভগবানপুরে ১৩০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন উৎপাদন কেন্দ্রের সূচনা হয়েছে। ভারতে তথা এশিয়ার বৃহত্তম সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র দ্য ওয়েলসপ্যান সোলার এমপি প্রজেক্ট ব্যক্তিমালিকানাধীন যা তৈরি করতে খরচ হয়েছে ১১০০ কোটি টাকা। ৩৫০ হেক্টর জমির উপর তৈরি এই কেন্দ্র বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে প্রতি কিলোওয়াট ৮ টাকা ৫ পয়সা করে।
পশ্চিমবঙ্গও অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় পিছিয়ে নেই। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের একটি রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, কনফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ানা ইন্ডাস্ট্রিজের পূর্বাঞ্চলীয় শাখার এক অনুষ্ঠানে তৎকালীন বিদ্যুৎ সচিব বলেন, রাজ্য সরকার সরকারি ভবনগুলিতে সৌর প্যানেল লাগানোর কথা চিন্তাভাবনা করছে। রাজারহাট নিউটাউন সৌরনগরী হিসাবে গড়ে উঠবে। এ ছাড়াও আরও বেশ কিছু জায়গাকে চিহ্নিত করার কাজ চলছে যেখানে সৌরশক্তিকে কাজে লাগানো হবে। অর্থাৎ শক্তি নিরাপত্তায় সৌরবিদ্যুৎ প্রযুক্তিই শেষ কথা বলবে। পশ্চিমবঙ্গে সর্বপ্রথম সৌরবিদ্যুৎ নিয়ে বড় মাপের কাজ শুরু হয় সুন্দরবন অঞ্চলে। সেখানে ওয়েবরেডার মাধ্যমে তিনটি প্রত্যন্ত বিধানসভা অঞ্চলের গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ করার কাজ হয়। বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানও এই উদ্যমে ঝাঁপিয়ে পড়ে। পরে সাগরদ্বীপে সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য আলাদা ট্রান্সফরমারের ব্যবস্থা করা হয়। সমগ্র সাগরদ্বীপকে আলোকিত করার কাজে সৌরবিদ্যুৎ কাজে লাগানো হয়েছিল। পরে অবশ্য এই দ্বীপে চিরাচরিত বিদ্যুৎ নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। দেশের মধ্যে প্রথম গ্রিডে সৌরবিদ্যুৎ ফেলার জন্য সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরি হয় পশ্চিমবঙ্গের দুর্গাপুরে। বর্তমানে এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের সক্ষমতা অনেকটাই বাড়ানো হয়েছে। এ ছাড়া পাহাড়ি অঞ্চল, জঙ্গলমহল সহ রাজ্যের প্রত্যন্ত অংশের দুর্গম গ্রামগুলিতে সৌরবিদ্যুৎ বসানোর কাজ চলছে।
সূত্র : যোজনা, মে ২০১৪
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/15/2020