গৃহস্থালির ছোট পরিসরে জলবিদ্যুৎ উৎপন্ন হয় না। সে তুলনায় সৌরবিদ্যুৎ প্রায় সব জায়গায় উৎপাদন করা যায়। বায়োমাস পোড়ালে কার্বন নির্গত হয় যদিও তা জীবাশ্ম জ্বালানি যেমন কয়লার তুলনায় কম। সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে কোনও নির্গমণ ঘটে না। তাই সৌরবিদ্যুৎ থেকে প্রাপ্ত সুবিধা চিরাচরিত জীবাশ্ম জ্বালানি এবং অন্যান্য পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি পদ্ধতি থেকে বেশি। পিভি (ফোটোভোলটাইক) শক্তি রূপান্তরের দ্বারা, ফোটন দ্বারা প্রজ্বলিত হলে সেমিকনডাক্টর থেকে সরাসরি বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। এই প্রক্রিয়া ঘটে একটি সৌরকোষের মধ্যে এবং এর কোনও বর্জ্য পদার্থ বা নিঃসরণের সমস্যা থাকে না। সূর্য থেকে প্রাপ্ত শক্তি যে হেতু চিরন্তন একটি প্রক্রিয়া, সে হেতু ফোটোভোলটাইক বিদ্যুৎকেও অসীমিত শক্তির উৎস হিসাবে বিবেচনা করা অযৌক্তিক কিছু নয়। শক্তি নিরাপত্তা এবং পরিবেশ সহায়ক হিসাবে তাই পিভির ব্যবহারই সব থেকে গ্রহণযোগ্য বলে ধরে নেওয়া যায়। সৌরকোষের সব চেয়ে বড় সুবিধা হল এর কোনও চলমান যন্ত্রাংশ না থাকায় জ্বালানি খরচ লাগে না এবং এটা যে কোনও জায়গায় লাগানো যায় এমনকী অতি দুর্গম স্থানেও। এটি যে কোনও মাপের হতে পারে।
আন্তজার্তিক শক্তি সংস্থা ২০১১ সালে জানায়, সুলভ, অফুরন্ত এবং স্বচ্ছ সৌরবিদ্যুৎ প্রযুক্তির উন্নয়নের দীর্মেয়াদি উপকারিতা আছে। দেশজ, অফুরন্ত এবং বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমদানি ব্যয়মুক্ত এই উৎসের উপর নির্ভরতা বাড়লে দেশের শক্তি নিরাপত্তা বাড়বে, কমবে দূষণ, কমবে জলবায়ু পরিবর্তন সংশ্লিষ্ট ব্যয়। আমাদের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নততর হবে। এর দ্বারা উপকৃত হবে গোটা পৃথিবী। সেই দিকে তাকিয়েই প্রকল্প রূপায়ণের কথা ভাবা হচ্ছে। প্রকল্পগুলি যাতে সফল হয় সে ব্যাপারে বিস্তারিত ভাবনাচিন্তা চলেছে।
সূত্র : যোজনা, মে ২০১৪
সর্বশেষ সংশোধন করা : 12/19/2019