প্রকৃত পক্ষে ভারতের মতো জনবহুল দেশে আমদানি-নির্ভর জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে শক্তি নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার অন্যতম পন্থা হল পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎপাদনে মনোযোগী হওয়া। ভারতে এর বিপুল সম্ভাবনা থাকায় পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তির উৎসকে চিরাচরিত শক্তির পরিপূরক হিসেবে ভাবা উচিত। কারণ গ্রামীণ এবং দুর্বল এলাকাগুলিতে শক্তি সয়ম্ভরতা অর্জনের একমাত্র হাতিয়ার পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি। আর পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি উৎপাদন ও ব্যবহারের প্রধান সুবিধা হল, পুরো প্রক্রিয়াটি পরিবেশবান্ধব তো বটেই, উপরন্তু অন্তদের্শীয় উৎসসমূহের যথাযথ ব্যবহারের ফলে আমদানি নির্ভরতা কমানোর সুযোগ।
২০০৯ সালের হিসাব অনুযায়ী ভারতে ব্যবহার্য শক্তি মিশ্রণের ২৬ শতাংশ আসছিল জলবিদ্যুৎ, বায়োমাস, বায়ুশক্তি, সৌরশক্তি ও অন্যান্য উৎস থেকে।
নদীমাতৃক এ দেশে জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের যে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে, তাকে ব্যবহার করে ইতিমধ্যেই বছরে ১৪৮৭০১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব হয়েছে। ২০১২ সালের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত স্থাপিত জলবিদ্যুৎ প্রকল্পগুলি থেকে নদীভিত্তিক জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা সারণি - ৪ থেকে স্পষ্ট হবে।
নদী/অববাহিকা |
বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা(মেগাওয়াটে) |
সিন্ধু অববাহিকা |
৩৩৮৩২ |
গঙ্গা অববাহিকা |
২০৭১১ |
মধ্যভারতের নদীসমূহ |
৪১৫২ |
দক্ষিণ ভারতের পশ্চিমবাহিনী নদী |
৯৪৩০ |
দক্ষিণ ভারতের পূর্ববাহিনী নদী |
১৪৫১১ |
ব্রহ্মপুত্র অববাহিকা |
৬৬০৬৫ |
মোট |
১৪৮৭০১ |
সূত্র : সিইএ
বলা বাহুল্য, অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং এখনও পর্যন্ত অব্যবহৃত নদী ও নদী অববাহিকাগুলির ব্যাপক ব্যবহারের মাধ্যমে এই উৎপাদন অনেকটা বাড়ানো সম্ভব। প্রয়োজন শুধু নিখুঁত পরিকল্পনা রচনা এবং তা রূপায়ণে রাষ্ট্রীয় দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন।
সূত্র : যোজনা, মে ২০১৪
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/21/2020
শক্তির উৎস থেকে শক্তির উৎপত্তি সম্পর্কিত তথ্য
শক্তির ধারাবাহিক পরিকল্পিত ও ব্যাপক ব্যবহারের মা...