জাতীয় সুসংহত শক্তি নীতিতে ভারতে ২৩ শতাংশ শক্তি সংরক্ষণের সম্ভাবনা ব্যক্ত করা হয়েছে। এই সম্ভাবনা সব চেয়ে বেশি শিল্প ও কৃষি ক্ষেত্রে। শক্তি সংরক্ষণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য ২০০১ সালে ভারত সরকার শক্তি সংরক্ষণ আইন ২০০১ প্রণয়ন করেছে। ২০০২ সালের ১ মার্চ থেকে এই আইন বলবৎ হয়েছে। এই আইনে কেন্দ্র ও রাজ্যস্তরে শক্তির দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আইনি পরিকাঠামো গঠন, প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থাপনা এবং নিয়ন্ত্রণমূলক কর্মসূচির ওপর বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এগুলি হল-
এই আইনে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শক্তি দক্ষতা অনুশীলনের জন্য ঐচ্ছিক এবং আবশ্যিক—উভয় ব্যবস্থাই রাখা হয়েছে। শক্তি মন্ত্রকের এনার্জি এফিশিয়েন্ট প্রোগ্রাম এবং স্মার্ট গ্রিড প্রকল্প দু’টির লক্ষ্য হল শক্তি দক্ষতা বাড়িয়ে শক্তি সংরক্ষণের সঙ্গে শক্তিবিভাগকে অর্থনৈতিক ও পরিবেশগত ভাবে সমৃদ্ধ করা।এই প্রকল্প দুটির আওতায় গৃহিত কর্মসূচিগুলি হলঃ
এই কর্মসূচিগুলির প্রত্যেকটির লক্ষ্য হল চাহিদা পরিচালন এবং নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সকলের জন্য শক্তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
এ ছাড়া ওই একই বছরে ভারত সরকার ব্যুরো অফ এনার্জি এফিশিয়েন্সি নামে একটি সংস্থা স্থাপন করেছে। এই সংস্থাটিও শক্তি দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শক্তি সংরক্ষণের কাজ করে চলেছে।
সূত্র : যোজনা, মে ২০১৪
সর্বশেষ সংশোধন করা : 7/1/2020