সব সময় উন্নতমানের মেশিন বা যন্ত্রপাতি ব্যবহার করা উচিত। ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েন্সি বা বিইই রেফ্রিজারেটর, এয়ার কন্ডিশনার, সিলিং ফ্যান ইত্যাদির মান চিহ্নিত করার জন্য স্টার রেটিং বাধ্যতামূলক করেছে। স্টারের সংখ্যা যত বেশি, বিদ্যুৎ খরচ ততই কম — এ ভাবেও বিদ্যুৎ খরচ আরও কমানো যায়।
কিছু অভ্যাসের বদল ঘটানোও দরকার। উচিত এলইডি বা সিএফএল ল্যাম্প ব্যবহার করা। সিলিং ফ্যানে ইলেকট্রিকাল রেগুলেরেটর ব্যবহার করা এবং সব সময় পাখা পুরো স্পিডে না চালিয়ে দরকারমতো স্পিডে চালানো। আলো এবং তার শেড পরিষ্কার রাখা। এসি চালানোর সময় অল্প স্পিডে সিলিং ফ্যান চালালে ঠান্ডা হাওয়া সারা ঘরে সমান ভাবে পৌঁছয়। এসির তাপমাত্রা খুব না কমিয়ে ব্যবহার করা।
কোনও ভাবেই বিদ্যুতের অপচয়করা যাবে না।
ডিমান্ড সাইড ম্যানেজমেন্ট বা চাহিদাভিত্তিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে আমরা এ ভাবে বিদ্যুতের অকারণ খরচ কমাতে পারি। এই খরচ কমালে উৎপাদনও কমাতে হবে এবং লোডশেডিং করার প্রয়োজনও কমে যাবে। ভারত সরকারের বিদ্যুৎ মন্ত্রক এক নির্দেশনামা জারি করেছে যাতে পরিবেশের উন্নতি ঘটিয়ে শক্তিক্ষেত্র বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে পারে।
এই সব ব্যবস্থা ঠিক ভাবে নিতে পারলে চাহিদাভিত্তিক ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত হবে, বাড়তি শক্তি পাওয়া যাবে এবং দেশের সর্ব স্তরের মানুষের কাছে সুলভে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে।
অনেক সময় দেখা যায় ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় এসি বন্ধ করতে বা পাখার সুইচ অফ করতে অনেকে ভুলে যান। মনে রাখতে হবে এভাবে বিদ্যুৎ অপচয় করলে খরচ যেমন বাড়ে তেমনই ভবিষ্যতের বিদ্যুৎ ভান্ডারকেও সঙ্কুচিত করা হয়। এই অভ্যাসের বদল করা দরকার।
সূত্র : যোজনা, মে ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 3/3/2020