জ্বালানি তেলের বড় অংশ এখনও বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। অচিরাচরিত শক্তি যেমন জল, বায়ু ইত্যাদির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের কথা আমাদের আরও বেশি করে ভাবতে হবে। কারণ এ ভাবে যতটা বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে ততটাই কম খরচ হবে জ্বালানি। এই বিদ্যুৎ তৈরির খরচ গত দশ বছরে কমে এক তৃতীয়াংশ হয়েছে। তা ছাড়া দূষণমুক্ত উৎপাদন আমাদের সবুজায়নের প্রকল্পকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে। আজকাল রুফ টপ বা বাড়ির ছাদের উপর অনেকে সৌর বিদ্যুতের সেল লাগিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করেছে।
তেল উৎপাদনকারী দেশগুলির খামখেয়ালি আচরণের জন্য অনেক দেশই এখন তেল আমদানি কমানোর চেষ্টা করছে এবং এতে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হচ্ছে। তা ছাড়া অচিরাচরিত বিদ্যুৎ উৎপাদনের বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশের সম্পদ বৃদ্ধি হচ্ছে এবং বেড়ে চলেছে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষমতা এবং শক্তি সংরক্ষণ।
বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্র সম্পর্কে ইতিমধ্যেই আলোচনা হয়েছে যে তেল বা কয়লার অপচয় বন্ধ করতে হবে। এবং পরিস্রুত ও অপরিস্রুত এই দু’ ধরনের জলের ব্যবহারই কমাতে হবে। স্টিম বা বাষ্প এবং হিট বা উত্তাপ নষ্ট হতে দেওয়া যাবে না — বয়লার ব্লো ডাউন যেন অকারণে না হয়। অকজিলিয়ারি বিদ্যুতের খরচ যত কম হবে ততই বাড়বে উৎপাদনকেন্দ্রে পাঠানো বিদ্যুতের পরিমাণ এবং সেই অনুপাতে বেড়ে যাবে প্লান্ট লোড ফ্যাকটর এবং উৎপাদন কেন্দ্রের দক্ষতা। একই সঙ্গে বাড়াতে হবে কেন্দ্রের মধ্যে অচিরাচরিত শক্তির মাধ্যমে বাড়তি বিদ্যুৎ উৎপাদন। এক কথায়, বিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রের হিট রেট বা তাপের হারকে উন্নত করতে হবে। এতে কয়লার খরচ এবং পরিবেশ দূষণ, দুটোই কম হবে। মোটামুটি একটা হিসাব অনুযায়ী বলা যায়, ১ লক্ষ ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে ১০০ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাস পরিবেশকে দূষিত করে। এবার অচিরাচরিত শক্তির কথায় আসি। সোলার ফটো ভোল্টাইক মডিউলের সাহায্যে আমরা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মধ্যেই বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারি। টার্বাইন হাউস, সুইচ হাউস বা অন্যান্য বাড়ির ছাদে এই মডিউল বসানো যায়।
সূত্র : যোজনা, মে ২০১৫
সর্বশেষ সংশোধন করা : 12/26/2019