ঘরের ভিতরের বায়ু দূষণ নিয়ে কিছু দিন আগে পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা খুব একটা চিন্তাভাবনা করতেন না। অতি সাম্প্রতিক কালেই বিষয়টি নিয়ে বৈজ্ঞানিক মহলে নাড়াচাড়া শুরু হয়েছে। ঘরে দূষণের উৎস থেকে যে গ্যাস বা পদার্থ নির্গত হয়, সেই গ্যাস বা পদার্থই বাড়ির ভিতরের বাতাসের গুণমান কমিয়ে দেয়। বহু বাড়িতেই বাতাসের ঢোকা-বেরোনোর ঠিকমতো ব্যবস্থা থাকে না। বায়ু নির্গমন- আগমনের যথাযথ ব্যবস্থা না থাকায় বাইরে থেকে পরিষ্কার হাওয়া এসে ভিতরের বায়ু দূষণের পরিমাণ কমাতে পারে না এবং বাড়ির ভিতরের দূষিত বায়ু বাইরেও বের হতে পারে না। তাপ এবং আর্দ্রতার উচ্চ মাত্রা কিছু কিছু দূষিত পদার্থের ঘনত্ব বাড়িয়ে দেয়। বহু সূত্র থেকে ঘরের দূষণ হতে পারে। শহরের ঘরবাড়িতে তাপের ব্যবস্থা, রান্নার ব্যবস্থা এবং তামাক সেবন থেকে দূষণের জন্য স্বাস্থ্যের উপর কী প্রভাব পড়ছে তা সঠিক ভাবে পরিমাপ করা প্রয়োজন। বহু কারণে শহরাঞ্চলে ঘরের ভিতরের দূষণ বেড়ে যাচ্ছে। তার মধ্যে ঘেঁষাঘেঁষি করে বাড়ি তৈরি করা, বায়ু আগমন-নির্গমনের রাস্তা কম রাখা, বাড়ি তৈরিতে সিন্থেটিক জাতীয় পদার্থ ব্যবহার করা, বাড়ির কাজে কীটনাশক ও রাসায়নিক পদার্থের ব্যবহার ইত্যাদি রয়েছে। ঘরের ভিতরের দূষণ বাড়ির ভিতরে শুরু হতে পারে বা বাইরে থেকেও আসতে পারে। বদ্ধ জায়গায় শুধু নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, সীসা থেকেই দূষণ ছড়ায় না, বায়ু দূষণের জন্য আরও অনেক ধরনের পদার্থই দায়ী।
ভারতের মতো উন্নতিশীল দেশগুলো আরও বেশি অভ্যন্তরীণ দূষণের শিকার। এ দেশে ৩০ কোটি ৫০ লক্ষ মানুষ রান্না করা ও ঘর গরম রাখার জন্য এখনও জ্বালানি কাঠ, কাঠকয়লা এবং ঘুঁটের মতো চিরাচরিত জ্বালানির উপর নির্ভর করে। উন্নতিশীল দেশে জ্বালানি ব্যবহারের ক্ষেত্রে এই ধরনের পশ্চাৎপদতা দূষণ নিয়ন্ত্রণের অন্তরায়। এ ধরনের জ্বালানি পোড়ালে ঘরের বদ্ধ জায়গায় প্রচুর ধোঁয়া এবং বায়ুকে দূষিত করার মতো প্রচুর পদার্থ নির্গত হয়। আর নারী ও শিশুরা যে হেতু বেশির ভাগ সময় ঘরের মধ্যে কাটায়, তাই এই দূষণের বেশি শিকার হয় তারাই।
বাড়ির বায়ু দূষণ থেকে বেশ কয়েক ধরনের রোগ হতে পারে। যেমন ---
ধোঁয়াবিহীন চুলা ও সৌরশক্তি ও জৈবগ্যাসের মতো পরিষ্কার জ্বালানির ব্যবহার বাড়ানো গেলে ঘরের ভিতরের বায়ু দূষণ কমানো যাবে।
সর্বশেষ সংশোধন করা : 6/26/2020